শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৩

ইবি শিক্ষকদের উপর বর্বর হামলার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ১০মাসেও জমা হয়নি

হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
রাশেদুন নবী রাশেদ, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর দফায় দফায় বর্বরোচিত হামলার গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন গত ১০মাসেও জমা হয়নি। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি ও দ্রুত তদন্ত রির্পোট জমার দাবীতে মানব বন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এসময় ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব দাবী আদায় না হলে কঠোর আন্দলনের হুমকি প্রদান করে বক্তারা। জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর দফায় দফায় বর্বরোচিত হামলাকারীদেও করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমার বিচার দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানব করে শিক্ষক সমিতি। মানববন্ধন চলাকালে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. গোলাম মাওলার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নজিবুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইকবাল হোছাইন, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন, রাষ্ট্রনীতি ও লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. একেএম মতিনুর রহমান, প্রফেসর ড. রুহুল আমিন ভুইয়া, সহকারী প্রক্টর কামরুল হাসান, সহযোগি প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধনে গত বছরের ১৯ নভেম্বর ও চলতি বছরের ১২ জানুয়ারী শিক্ষকদের উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও তুহিনের নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্ত গত ১০মাসেও সে তদন্ত রিপোর্ট জমা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন। গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়,ও মিডিয়ায় প্রকাশিত এ হামলার ভিডিও ফুটেজ ও পত্রিকা কাটিং দেখে চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবী জানায়। এবং আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ দাবী আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি প্রদান কওে বক্তারা।এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড.নজিবুল হক বলেন,‘ হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় না নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে সন্ত্রসী কর্মকান্ডে উস্কে দিচ্ছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সকল ঘটনার প্রতিবেদন জমা না করা হয় এবং দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারকার্য শুরু করা না হয় তাহলে ১৮ তারিখের পরে শিক্ষক সমিতি কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম নূরী বলেন,‘ শিক্ষকদের হামলার ঘটনায় আজ পর্যন্ত দোষীদের শাস্তি না হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে ভুবই মর্মাহত। আমি মনে করি, বর্তমান প্রশাসন হামলাকারীদের এখনও শাস্তি না দিয়ে তাদেরকে শিক্ষক মারার লাইসেন্স দিচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি,প্রো-ভিসিও ট্রেজারারের অপসারনের দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে গত বছরের ১৯ নভেম্বর ও এ বছরের ১২ জানুয়ারী তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সাধারন সম্পাদক তুহিন শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর হামলা করেন। এ ঘটনায় পরপর দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ঐ তদন্ত কমিটিগুলোর কোন প্রতিবেদন পেশ না হওয়া এবং দোষীদের শাস্তি না হওয়ায় শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন