মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০১৩

মিরপুরে পথসভা ও গণসংযোগকালে অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম

সরকার বিরোধী আন্দোলনে

যেখানে বাঁধা সেখানেই প্রতিরোধ

মিরপুর প্রতিনিধি : সরকার ২৪ শে অক্টোবরের পরে গায়ের জোরে রাষ্ট্র পরিচালনা করার যে স্বপ্ন দেখছে তা কখনও পূরণ হবে না। হাসিনা সরকারে একদলীয় নির্বাচনকে রুখে দেয়া হবে। গত শনিবার দিনব্যাপী মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া, ধুবইল, পৌরসভা, আমলা, ছাতিয়ান, কুর্শা, সদরপুর ও মালিহাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়, গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে, পদ্মা সেতু, হলমার্ক কেলেংকারী ও সোনালী ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে তাদেরকে এই বাংলার মাটি থেকে বিদায় নিতে হবে। নির্বাচনের আগে এ সরকার যত প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল তার একটাও বাস্তবায়ন করেনি। ঘরে ঘরে চাকুরী
দেয়ার নাম করে মানুষকে ধোকা দিয়েছে। আমার আমলে তৈরীকৃত রাস্তা গুলো সংস্কারের অভাবে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হেফাজত ইসলামীর নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে শেখ হাসিনা গণহত্যা করেছে। এ গণহত্যার দায়ে একদিন জাতি তাকে বিচারের সম্মুখীন করবে। সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম বাদ দেয়ার কারণে দেশ থেকে আল্লাহর রহমত ওঠে গেছে। জাতীর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা ভাষন দিয়ে নাটক মঞ্চত্ব করেছে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে যেখান থেকে বাধা আসবে সেখান থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। দেশে কোন বিনিয়োগ নেই, কর্মসংস্থান নেই যার কারণে বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ইলিয়াস আলীর মত হাজার হাজার নেতা কর্মী এ সরকারের আমলে গুম হয়েছে। তাই এ সরকারের আমলে মানুষের জীবনের কোন দাম নেই। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক রিপোর্টে বাংলাদেশে এই মুহুর্তে নির্বাচন হলে হাসিনা সরকারের পতন অনিবার্য যার কারণে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছেন। বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মতামত দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীর পক্ষে। কিন্তু সরকার তাতে কোন রকম কর্নপাত করছেন না। সরকার বিচার বিভাগকে নিজের মত করে তৈরী করেছেন। যার কারণে বিএনপি’র কোন নেতাকর্মী ন্যয় বিচার পায় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় আওয়ামীলীগের ১০ হাজার নেতা কর্মীর মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে আর বিএনপি’র নেতা কর্মীর একটা মামলাও প্রত্যাহার করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের দোহায় দিয়ে ২৪ তারিখের পরে দেশ পরিচালনা করলে তা অবৈধ দেশ পরিচালনা করা হবে। খালেদা জিয়া আন্দোলনের যে ঘোষনা দিবে তা আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পালন করব। আগামীতে আমি আবারও এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলে সকল উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করব। এসময় তার সাথে সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রশিদ, পৌর বিএনপি’র সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বাবু, জামাত নেতা ও আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. রফিকুল ইসলাম, চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন পিস্তুল, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনছার আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, বারুইপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম মুকুল, পোড়াদহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মালিহাদ ইউনিয়ন বিএনপি’র উপদেষ্টা নুরে আলম বুলবুল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আজাদুর রহমান আজাদ, যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুল ইসলাম জনি, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সংগ্রাম খান জিল্লু, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মনি, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক ইফতেখার আলম শিল্পু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মোমিন, নাসিরুজ্জামান রানা প্রমুখ। উল্লেখ্য ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়, গণসংযোগ ও পথসভায় রাস্তার দু-ধারে হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুরা অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন