মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০১৪

মনোমোহন বিড়ি কারখানায় শতশত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি : নীরব প্রশাসন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ॥ কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বাহাদুপুর গ্রামে অবস্থিত মনোমোহন বিড়ি কারখানাটি প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকিসহ বেআইনি কার্যকলাপের এক মহা উৎস চলছে। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ হতে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই কারখানাটিতে প্রতিদিন ২০-২৫ লক্ষ বিড়ি উৎপাদন হয়ে থাকে। মালিকপক্ষ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্য বাহাদুরপুরের মূল কারখানা ছাড়াও ভেড়ামারা থানা সদর, নাটোরের মালচ ইয়াসিনপুর এবং রাজশাহীর গয়ারসুপ এই তিনটি জায়গায় শাখা কারখানা রহিয়াছে। এই ইউনিয়নের শ্রমিকদেরকে সঠিক দাবি দেওয়া থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে এই শাখা কারখানাগুলি পরিচালনা করিয়া থাকে। বাহাদুরপুরেরর শ্রমিকগণ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার চেষ্ট করলে মূল কারখানা বাহাদুর পুরে কাজ কমিয়ে দেয়। তাছাড়া এই কারখানাগুলো করার মূল উদ্দেশ্য আরেকটি হলো নাটোর, রাজশাহী এবং ভেড়ামারা সদরে যে শাখা কারখানা রহিয়াছে এগুলোতে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া অনেক সহজ। কারখানাগুলোর কর্মকান্ড প্রশাসনের নজরে বাইরে। প্রতিদিন উৎপাদিত ২০-২৫ লক্ষ বিড়ি জাল ব্যান্ডরোল এবং ব্যান্ডরোল বিহিন বিড়ি নাটোর জেলায়, লালপুর পাবনা জেলার বৃহত্তর অংশসহ গ্রামে বিক্রি করিয়া থাকে। কারখানাটিতে শ্রমিকদিগকে
শ্রম আইনের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা হেিত বঞ্চিত করিয়া আসিতেছে দীর্ঘ দিন যাবত। ফেডারেশনের পক্ষ হইতে উল্লেখ্য করা হয় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের শ্রম আইনের বিধান মোতাবেক হাজীরা রেজিষ্ট্রার, মজুরী রেজিষ্ট্রার ইচ্ছাকৃত ভাবে সংরক্ষণ করে না। সঠিক শ্রমিক সংখ্যা, সঠিক উৎপাদন গোপন করার উদ্দেশ্যে দূর্নীতি করার লক্ষ্যেই মূল শ্রমিকদেরকে রেজিষ্ট্রার না করা। এই লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়া মালিকরা ভেড়ামারা, বাহাদুরপুর, ঢাকায় হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হইয়াছে বলে বিবৃতিকে উল্লেখ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন