মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০১৪

খোকসায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৪

বিএনপি’কে মাঠের বাইরে রাখতে হামলা-মামলা নিয়ে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ

বিশেষ প্রতিবেদক: আসন্ন খোকসা উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে হামলা-মামলা নিয়ে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ। অপর দিকে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও আত্মরক্ষার কৌশল গ্রহণ করায় শেষ মুহুর্তেও নির্বাচন জমেনি। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর হামলা-মামলার জন্য বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যে সেই গতি নেই। উপজেলার ৪৪ টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ৮৯ হাজার ১৯৬ জন ভোটার ভোট দেবে বলে আশা করা হলেও সবগুলো কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ করে রেল লাইনের ওপার বলে খ্যাত শোমসপুর, জয়ন্তীহাজরা, গোপগ্রাম ও আমবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৭ কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। যে কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আধিপত্য বিস্তার করে সুষ্ঠ ভোট গ্রহণে বাধা দিতে পারেন এমনটিই আশা করছেন ১৯ দলীয় নেতৃত্বাধীন প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১ জন করে প্রার্থীসহ পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারনার শুরু থেকে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মামলা শুরু হয়। সম্প্রতি তা চরম মাত্রায় পৌঁছেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই সচেতন নাগরিক সমাজের প্রার্থী সৈয়দ আমজাদ আলী, ভাইস চেয়ারম্যার প্রার্থী জামায়াত নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আহম্মেদ তাতারী, খোকসা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আনিস উজ জামান স্বপন ও একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। অবশ্য প্রথম মামলার বাদি নজরুল ইসলাম নিজেই জানেনা কাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগে মামলা হয়েছে। এসব নেতাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলার বাদি আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খানের ছোট ভাই আব্দুর রহিম খান। (যার নম্বর ২/১৪ তাং ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৪)। মামলা দুটিতে ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হলেও অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে। উপজেলার উত্তর অংশের শোমসপুর, আমবাড়িয়া, গোপগ্রাম ও জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নে প্রায় ৩৬ হাজার ভোটের ওপর একছত্র আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজে ও তার সমর্থক বাহিনী। শোমসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান কাজল, আমবাড়িয়া ইউনিয়নের গোসাইডাঙ্গী গ্রামের জসিম উদ্দিন, জয়ন্তীহাজরা ইউপি’র জহর আলী শেখ, আনছার মক্কেল, আব্দুল গনি মোল্লা, শাজাহান, রহিম উদ্দিন, গোপগ্রাম ইউনিয়নে শ্যামগঞ্জের আসলাম উদ্দিন, শিমুলিয়া ইউনিয়নের শহিদ বিশ্বাস, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ির মধু ও আমিরুল, ও বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকা, গোপগ্রাম, জয়ন্তীহাজরা, শোমসপুর, শিমুলিয়া, ধুসন্ডসহ বিএনপি ২৫ কর্মীর উপর হামলার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।হামলায় আহতদের সাথে পৃথক পৃথক কথা বলা হলে তারা জানান, বিএনপির পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগে তাদের উপর প্রতিপক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান নিজে হামলা চালিয়েছে। হামলার শিকার জহর আলী শেখ, আব্দুল গনি মোল্লা, রহিম উদ্দিন শেখকে প্রার্থীর গাড়িতে তুলে চার কিলোমিটার দূরে শোমসপুর রাজারে জনসম্মুখে নাকখত দেওয়ানো হয়। কথাবলা হয় বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ আমজাদ আলীর সাথে। তিনি জানান নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নিজে তার দলের প্রায় ৩০ নেতা কর্মীকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেছে। কর্মীদের এজেন্ট না হওয়ার জন্য সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দিয়ে অনুবর্দ হামলা চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কথা বলা হয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন