বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০১৪

মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায়

ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ’র নবাগত চেয়ারম্যান এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম সহ বিএনপির ৭ নেতাকর্মী জেল হাজতে

মনির উদ্দিন মনির ॥ সদ্য সমাপ্ত ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নবাগত চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম সহ বিএনপির ৭ নেতাকর্মী’র জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত’র বিচারক আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি চাঁদগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান জানবার হোসেন, বাহাদুরপুর ইউপি বিএনপির সাধারন সম্পাদক ওয়াজেদ আলী টুকু, ধরমপুর বিএনপির সাধারন সম্পাদক রবিউল সরকার সহ ৭ নেতাকর্মী।আদালত ও দলীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর ভেড়ামারা শহরের মধ্য বাজারে জাসদ অফিসে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা করে। ওই ঘটনায় ভেড়ামারা উপজেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক আনসার আলী বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় ৬২ জনের নাম উল্ল্যেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় হাইকোর্ট শর্ত সাপেক্ষে গত ২০ জানুয়ারী এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলমসহ ৭ জনের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।গতকাল দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম সহ বিএনপির ৭ নেতাকর্মী আত্মসর্মপন করে জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ১৯শে ফ্রেব্র“য়ারী অনুষ্ঠিত ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়। ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নবাগত চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম সহ তোকর্মীদের মুক্তির দাবী করেছেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন সহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন