বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০১৪

ভোটারদের আতংকের নাম খোকসা উপজেলা নির্বাচন ...

হয় ভোট নয় গায়ের চামড়া

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে ঢুকে বাড়িওয়ালাকে (গৃহকর্তা) না পেয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর শুরু করে বাড়ির মহিলাদের উপর শাসিয়ে সবাইকে কে বলে, বাড়ির কেউ যদি ভোট কেন্দ্রে যায় তহালে তার নাড়ি ভুরি বের করে দেওয়া হবে নইতো গায়ের চামরা তুলে ফেলা হবে। এমন ভাবে আর্তনাদ করে কথা গুলো বলছিলেন উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের ঢুসন্ডি গ্রামের এক গৃহবধু। শুধু ঢুসন্ডি নই আসন্ন ২৭ তারিখের উপজেলা নির্বাচন কে সামনে রেখে আতংকের জনপদে পরিণত খোকসা উপজেলা। বিশেষ করে উপজেলার শোমসপুর, আমবাড়িয়া, জয়ন্তী হাজরা, গোপগ্রাম এবং বনগ্রাম ইউনিয়েনের প্রায় প্রতিটি গ্রামে গত কয়েকদিনে মুখসধারী সন্ত্রাসীদের হামলা নির্যাতনের শিকার হয়ে সব সময় এক অজনা ভয় ও আতং বিরাজ করছে এসব অঞ্চলে। গতকাল সরেজমিনে সাংবাদিকদের একটি দল এসব এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায়, এই চার ইউনিয়নের গ্রামগুলি পুরুষ শূন্য হয়ে পরেছে। প্রতিটি বাড়িতে মহিলা, বৃদ্ধ ও শিশুদের পাওয়া গেলেও তারা ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না। তবে এসব এলাকা পরিদর্শন কালে জানা যায়, সোমবার রাতে ঢুসন্ডির কামির উদ্দিন, আব্দুল মালেক মোল্লা, শিমুলিযার আব্দুর রাজ্জাক,শিমূলিয়ার আব্দুল কাদের, ঢুসন্ডির ৯০ বৃদ্ধ হাজী আজগর আলী, আবুল হোসেন, শিমুরিয়া কারিগর পাড়ার মামুন, সামসুল আলম, আমবাড়িয়া বাজারের আব্দুস সালামসহ অসংখ্য বাড়িতে মুখসধারী সন্ত্রাসীরা রামদা,ছেন, হাত কুরাল, হাসো, বেকিসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা লুটপাট নির্যাতন চালিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছে। সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে আরো জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের চেয়াম্যান প্রার্থী সদর উদ্দিন খান নিজের পরাজয় ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তার পৌষ্য এবং ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা গ্রামে গ্রামে ১৯ দলের নেতাকর্মী ও ১৯দল সমর্থিত সাধারণ ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা লুটপাট নির্যাতন ও ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। শুধু তাই ভোট কেন্দ্রে গেলে প্রকাশ্য টেবিলের ব্যালট পেরারের সিল মারতে হবে বলে এমনটিই হুমকী দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর এসব সন্ত্রাসীরা। ইতি মধ্যে ১৯ দল সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ আমজাদ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ডাঃ আবু বক্কর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইশারাত জাহান পুনম ব্যাপক জনসমর্থনে রয়েছে। আর এ কারনে নির্বাচনের একেবারে শেষ সময় বিএনপি সমর্থিত সাধারণ ভোটার ভোট কেন্দ্রে না যেতে পারে সে জন্য আদা জল খেয়ে মরন কামর দিচ্ছে সদর খান এমটিই জানিয়েছে সাধারণ ভোটারারা। তাদের দাবী প্রশাসন থেকে যে মোবাইল টিম দেওয়া হয়েছে তারা এসব হামলা, নির্যতন রোধে কাজে আসছে বরং আমজাদ আলীর পক্ষে ভোট চাইলে তাদের সামনেই ১৯ দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছে। এছারা উপজেলার ৪৪ টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ৮৯ হাজার ১৯৬ জন ভোটার রয়েছে। এদিকে উপজেলার প্রায় সবগুলো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে শোমসপুর, জয়ন্তীহাজরা, গোপগ্রাম ও আমবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৭ কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসব ইউনিয়নের জনগণ সুষ্ঠভাবে ভোট প্রদানের জন্য ভোট কেন্দ্রের বাইরে ও ভিতরে প্রর্জাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদারের কথা বলেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন