সোমবার, এপ্রিল ০৭, ২০১৪

মেলার নামে নগ্নতা জুয়া সবই চলছে মিরপুরে মশান মাধ্যমিক স্কুল মাঠে

টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা

ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ জেলার মিরপুর উপজেলার বাইপাড়া ইউনিয়নের মশান মাধ্যমিক স্কুল মাঠে আনন্দ মেলার নামে নগ্নতা অশ্লিতার উৎসব চলছে। সেই সাথে চলছে প্রকাশ্য রমরমা জুয়ার আসর। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ পারক্ষ তত্বাবধানে সবই চলছে এই মেলাতে। গত মাসের স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে এই আনন্দ মেলা শুরু হয়। পুতুল নাচের নামে নগ্ন নৃত্যের প্রদর্শনী আসর বসেছে। প্রতিদিন রাত ৯ টায় নগ্ন নৃত্যের শো শুরু হয়ে চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে নর্তকীদের কাপড় খুলতে খুলতে একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে যায়। প্রতিদিন কিশোর যুবক সব বয়েসী মানুষের ঢল নামছে মেলার মাঠে। নগ্নতার নায়িকারা তাদের দেহ প্রদর্শন করে মাতাল করে তোলে দশর্ক গ্যালারী। জীবন্ত পুতুল নাচ রাত ৯ টায় শুরু হলেও জুয়ার আসর বসে সন্ধায়। চরকা, ফররগুটির আসরে প্রতিদিন শত শত ব্যক্তি সর্বশান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে জান লাকি নামে লাকি কুপুন জুয়া। জানা যায়, মেলার মাঠে বিভিন্ন মাদক বিক্রি করা হচ্ছে । মদ খেয়ে মাতালদের কেউ কেউ পুতুল নাচের মঞ্চে গিয়ে মাতলামি করছে। অভিযোগ আছে
মেলার মাঠে নিরাপদ স্থানে এসব নর্তকীদের সাথে রয়েছে রাত কাটানোর সুযোগ। অপরদিকে মেলার নগ্ন পুতুল নাচ দেখতে ও জুয়া খেলায় অংশ নিতে কুষ্টিয়া থেকে প্রতিনিয়ত ছুটছে তরুন যুবক ও ব্যাবসায়ীরা। সারা রাত কাটানোর পরে খালি হাতে সর্বশান্ত হয়ে ফিরছে তারা। জানা গেছে, হাইকোর্টে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মেলা চালানো হচ্ছে। এদিকে জুয়ার টাকা টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যেকনো সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। একটি সুত্রে জানা গেছে, ৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি ২ পক্ষের আগ্নেঅস্ত্র প্রদর্শন হয়। সংঘর্ষেও আশংকায় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। জানা গেছে. স্থানীয় জনৈক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা এ অপকর্মের সাথে জড়িত। এদিকে এ্ইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আনন্দ মেলার নামে নগ্ন নৃত্য জুয়া খেলার আসর বন্ধে দাবী জানিয়েছেন জেলার সুশিল সমাজ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন