মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৮, ২০১৪

চাকরি প্রার্থীদের সাথে সমঝোতায় এক সপ্তাহ পর সচল হলো ইবি

ইবি প্রতিনিধি : টানা সাত দিন অচল থাকার পর চাকরি প্রার্থী ছাত্রলীগ কর্মী ও বহিরাগতদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমজোতায় সচল হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার মধ্যরাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান তার কার্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা ও চাকরি প্রার্থীদের সাথে বৈঠকের পর পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার ক্যাম্পাস সচল হলেও ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর তুলনামূলক কম উপস্থিতি দেখা গেছে। সূত্র মতে, চাকরির দাবিতে গত ১ এপ্রিল থেকে রোববার পর্যন্ত চাকরি প্রত্যাশি ছাত্রলীগ কর্মী ও বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ অবরোধ করে। এতে অচল হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। চাকরি প্রার্থীরা ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার ও প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমানের কার্যলয় অবরুদ্ধ করে রাখলেও প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এনিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছালে সমজোতার ভিত্তিতে ক্যাম্পাস সচলের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরি প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা বলেন-‘রোববার রাত ১২টায় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমানের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে তিনি দ্রুত চাকরি প্রদানের ব্যাপারে আশ্বাস দেয়ায় আমরা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।’ তবে এনিয়ে কোন টালবাহানা হলে তারা আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন। জানা যায়, চাকরির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে
অস্থিতিশীল করে তোলা বহিরাগতদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা। ক্যাম্পাসে এ চাকরি প্রত্যাশী বহিরাগতদের বিরুদ্ধে শিক্ষক পেটানো, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও, চাঁদাবাজি, ট্রেন্ডারবাজি, ভর্তিবাণিজ্য, ফাও খাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ১০/১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র থাকলেও তাদের সাথে থাকা অন্যরা ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসেবে নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তাছাড়া ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর ও ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারী শিক্ষকদের উপর দু‘দফায় হামলা চালিয়ে অন্তত: ৭০ জন শিক্ষক আহত করার ঘটনার সাথে চাকরি প্রার্থীদের অধিকাংশই প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। সেসময়ে আহত ও লাঞ্ছিত শিক্ষকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী বর্তমানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং অন্যরা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ন পদে থাকার কারনে হামলায় অংশগ্রহণকারীদের চাকরি ঝুলে গেছে বলে জানা গেছে। এবিষয়ে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন-‘আলোচনার ভিত্তিতে ক্যাম্পাস স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে কাউকে চাকরি প্রদানের প্রতিশ্রুতি কিংবা আশ্বাস দেওয়া হয়নি। এর পর আর কেউ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন