সোমবার, জুলাই ২১, ২০১৪

নিরাপত্তা প্রহরী এখন গাংনী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক!

মেহেরপুর প্রতিনিধি : গাংনী হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী এখন হাসপাতাল জরুরী বিভাগের চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে সর্ব সাধারনকে হতবাক করে তুলেছেন। নব্য যোগদান কারি পঃপঃকর্মকর্তা মনিরুল হক এ খানে যোগদান করে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার নামে দিচ্ছেন অপচিকিৎসা। নিয়মশৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই এ সেবা কেন্দ্রে। সম্প্রতি সে ইবনে মিজানুর রহমান লিটন নামের এক নৈশপ্রহরীকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেবার দায়িত্ব ভার দেয়া হয়েছে।ইবনে মিজানুর রহমান লিটনকে গত ৩০-৬-২০১৪ ইং তারিখ থেকে স্মারক নং উদবাক/গাংনী/২০১৪/৭৮৬ তে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেবার দায়িত্ব দিয়েছেন পঃপঃ কর্মকর্তা মনিরুল হক। মিজানুর রহমান লিটন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেবার নামে টাকা উপার্জনে রয়েছেন ব্যাস্ত। জানাগেছে , বানিয়াপুকুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে শোহান(৮) খেলতে যেয়ে তার পা ভেঙ্গে যায়। গতকাল রবিবার সকালে গাংনী হাসপাতালে নিয়ে আসলে নৈশ্যপ্রহরী লিটন ৩০০ টাকা দাবী করে। দাবী কৃত টাকা না দিলে শোহানের পা ব্যান্ডেজ করার জন্য হাসপাতালে ব্যান্ডেজ থাকা সত্কেও তাকে দোকান থেকে কিনে নিতে হয়। এ ব্যাপারে পঃপঃ কর্মকর্তা মনিরুল হক জানান, সরবকারি ভাবে কোন ব্যান্ডেজ সরবারাহ নেই তাই রোগীদেরই নিতে হয়। অন্যদিকে একজন নৈশ প্রহরী হাড়জোড়ার সম্পর্কে কি চিকিৎসা দেবেন তা ভেবে হতবাক গাংনীর মানুষ। সম্প্রতি সময়ে হাসপাতালের সেকমো তানভীরের ভুল অপারেশনে মৃত্য শয্যায় সাহারবাটি গ্রামের আব্দুর রজ্জাক॥ তানভীরের অপচিকিৎসাই কয়েকটি শিশুর জীবন বিন্ন
হতে চলেছে। এ ব্যাপারে সেকমো তানভীরের নামে হাসপাতাল কক্ষে দফায় দফায় বসছে সালিশ বৈঠক।তানভীরের ভুল অপারেশনের খেশারত হিসাবে রোগীদের সহায় সম্বল খোয়াতে হয়েছে যার জীবন্ত সাক্ষী পঃপঃকর্মকর্তা নিজেই। তবে কি কারনে একজন নৈশপ্রহরীকে জরুরী বিভাগের দায়িত্ব দিলেন তা কারর বোধগম্য নয়। পঃপঃ কর্মকর্তার খামখেয়ালী পনার কারনে হাসপাতালে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটতেই আছে। ফলে এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। বিষয়টি মেহেরপুর সিভিল সার্জনের সু দৃষ্টি কামনা করেছে গাংনীর সর্বসাধারন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন