সোমবার, জুলাই ২১, ২০১৪

কুষ্টিয়া সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল

এই অবৈধ সরকার ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়

-সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী

স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়া
সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রোববার বিকেলে কুষ্টিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সদর থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বসান বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। সদর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম ওমর ফারুকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, জেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য ও সদর থানা বিএনপির সম্মানিত সদস্য কুষ্টিয়া বাস মিনিবাস মালিক গ্র“পের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক সিহাব উদ্দিন, সাবেক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর উল¬া খাঁন চৌধুরী লাহড়ী, জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক সিরাজুল হক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আবুল কাশেম, শহীদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বাবুল, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, এম এ শামীম আরজু, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান বশিরুল আলম চাঁদ, সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, শহর জামায়াতের আমীর সুজা উদ্দিন জোয়ার্দ্দার।
সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী তার বক্তব্যে বলেন, দেশ এক ক্রান্তিকাল পাড় করছে। বর্তমানে দেশে অরাজকতা বিরাজ করছে। দেশের মানুষ শান্তিতে নেই। এই স্বৈরচারী সরকার দেশকে ধ্বংসের দাড়প্রান্তে নিয়ে গেছে। দেশের কল্যাণে কাজ না করে নিজেদের পেট ভরতে ব্যস্ত এ অবৈধ সরকার। সরকার জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সরকার মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। সরকার ভিন্ন আঙ্গিকে বাকশাল কায়েম করতে চায় । এই সরকারের ওপর জনগণের সমর্থন নেই। এই সরকার কোনো আইন করলে আগামী দিনে তার বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনে সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন, যেখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই, সেই সংসদের হাতে যদি বিচারপতিদের অভিশংসনের দায়িত্ব দেয়া হয়, তাহলে তা পুরোপুরি একদলীয় ব্যবস্থায় পরিণত হবে এবং জনগণ ইনসাফ পাবে না। ‘আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনে বিশ্বাস করে। ’৭২ থেকে ’৭৫ সালের দিকে তাকালে দেখা যায়, তারা বলেছিলেন, এক নেতার এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। আজকে ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’ অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কঠিন সময় অতিক্রম করছে। গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সরকার দেশের মানুষের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার
চালাচ্ছে। তারা জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকদের রাজনীতি থেকে দূরে রেখে সরকার ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। বিরোধীদল যাতে রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে জন্য নতুন করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা যে আন্দোলনে ছিলাম, তা শেষ পর্যায়ে নিতে হবে।  সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছে। এখোনোও এত কৌশল অবলম্বন করেছে যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করেছে।  তিনি বলেন, ‘যে সংসদ জনপ্রতিনিধিত্বশীল বলতে পারি না, ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে, এটা আমরা সরকার বলতে পারি না। যে সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না সে সংসদ এ ধরনের এক আইন পাস করতে পারে না। ১৯৭২ সালের সংবিধানে ‘বিচারকদের পদের মেয়াদ’ শীর্ষক ৯৬ অনুচ্ছেদে ২ দফায় বলা হয়, ‘প্রমাণিত ও অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যন্যা দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ব্যতীত কোনো বিচারককে অপসারিত করা যাইবে না। উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়ার বিষয়টি জোরেশোরে আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগের গত সরকারের মেয়াদে। তিনি বলেন, ‘চুপ করে থাকার কোনো কারণ নেই। আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আব্দুর রব দিলু।অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি, শহর বিএনপি, সদর থানা বিএনপি, সদর থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দ, জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ, জেলা যুবদল, সদর থানা যুবদল, শহর যুবদল, জেলা ছাত্রদল, শহর ছাত্রদল, সদর থানা ছাত্রদল, কলেজ ছাত্রদল, জেলা জাসাস, সদর থানা জাসাস, শহর জাসাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল, শহর স্বেচ্ছাসেবকদল, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকদলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতীর কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন