সোমবার, জুলাই ২১, ২০১৪

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে অবরোধের মুখে পড়লেন স্থানীয় সাংসদ খোকসায় মাহেন্দ্র চালক মালিক সমিতির দ্বিতীয় দফায় সড়ক অবরোধ


মনিরুল ইসলাম মনি, খোকসা : খোকসায় মাহেন্দ্র চালক মালিকদের সংগঠন দ্বিতীয় দফায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে অবরোধ করে কুষ্টিয়া ৪ আসনের সাংসদের গাড়ি বহর আটকে দিয়ে আসন্ন ঈদ পর্যন্ত গাড়ি চালানোর মৌখিক অনুমতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।   রবিবার দুপুর একটার দিকে খোকসা-কুমারখালী মাহেন্দ্র চালক মালিক সমিতির সদস্যরা কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের খোকসা মডেল টাউন এলাকায় রাস্তায় শুয়ে পরে দ্বিতীয় দফায় অবরোধ সৃষ্টি করে। তারা মহাসড়কে মাহেন্দ্র চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি ও মহাসড়কে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় খোকসার কৃষি অধিদপ্তরের বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সাংসদ আব্দুর রউফ কুমারখালীতে যাওয়ার সময় অবরোধের মুখে পড়েন। প্রায় এক ঘন্টা ধরে আলোচনার পর আসন্ন ঈদুল ফিতর পর্যন্ত এ সড়কে মাহেন্দ্র চলানোর মৌখিক অনুমতি দেবার পর অবরোধকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। অবরোধের সময় কয়েক’শ বাস-ট্রাক সড়কে দাঁড়িয়ে পড়ায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়। কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ড্রাইভার সমিতির সাধারন সম্পাদক বিদুৎ, মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মকুল, আকতার, ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ। খোকসা-কুমারখালী আসনের সাংস
দ আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তার নির্বাচনী এলাকার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়কে মাহেন্দ্র চলাচল স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলবেন। গাড়িগুলো সরকারের অনুমতিতেই আমদানি করা হয়েছে, ভিটেবাড়ি বিক্রি করে অনেকেই জীবিকার প্রয়োজনে ৩/৪ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনেছে কিন্তু চালাতে পারছেনা, এটাতো আইন হতে পারেনা। তিনি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেবার আশ্বাস দেন।  উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী সড়কসহ মহাসড়কগুলোতে ধীরগতি সম্পন্ন গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করে। এর পর থেকে ব্যাপক পুলিশী অভিযান শুরু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে খোকসা - কুমারখালী মাহেন্দ্র চালক মালিক সমিতি ১ জুলাই প্রথম দফায় এ সড়ক অবরোধ করেছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন