শনিবার, নভেম্বর ২৯, ২০১৪

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন

কুষ্টিয়ায় কোচিং সেন্টারের  নামে চলছে রমরমা ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে রমরমা ভাবে চলছে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা। এসকল কোচিং সেন্টারের কারনে নষ্ট হচ্ছে মেধা ও শিক্ষার মান। নজর নেই প্রশাসনের মাথা ব্যাথা নেই শিক্ষা অফিসার সহ অভিভাবকদের। শহরের প্রাণ কেন্দ্র কাটাই খানা মোড় এবং শহরের বিভিন্ন যায়গায় গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো অল্প দিনে বড় লোক হওয়ার কোচিং ব্যবসা। শিক্ষার মান কমে যাওয়ার কারনে আজ ছাত্ররা ছুটে যাচ্ছে এই সব কোচিং এর দিকে। এ ধরনের সুযোগ লুটে নিচ্ছে কিছু সংখ্যক অসাধু কোচিং ব্যবসায়ীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বা কোচিং এর জন্য যে লাইসেন্স প্রয়োজন সেটা কেউ কেউ  জানে, কিন্তু মানে না। আবার কেউ  জানেই না যে কোচিং এর জন্য শিক্ষা অফিস থেকে লাইসেন্স নিতে হই। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় শিক্ষকরা ছাত্রদের থেকে বয়স কম এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম। তেমনিভাবে কাটাইখান মোড় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা বি.এস.এস পড়ারত অবস্থায় এবং হাতে গোনা তিন চার জন শিক্ষক নিয়ে কুষ্টিয়া পলিটেনিক্যাল, ও বিশ্ববিদ্যালয় এর এ্যাডমিশন ব্যাচের ক্লাস নেয় শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষার ১০০% প্রশ্ন কমনের নিশ্চয়তা দিয়ে এভাবেই চলছে কোচিং এবং স্কুল ব্যবসা। এছাড়াও দুর্নীতির ভেজালে পরিনত বিশেষ করে  বজলুর মোড়ে ওরাকল স্কুল এন্ড কোচিং সেন্টার, কাটাইখানা মোড়ে এডুকেয়ার কোচিং সেন্টার, প্রাইম কোচিং এন্ড ল্যাবরেটরী স্কুল, স্যার ইকবাল রোডের এ্যাক্সিলেন্ট কোচিং ও স্ট্যাডি পয়েন্ট, আফু চেয়ারম্যান গলির সৃজন কোচিং, হাসপাতাল মোড়ের ইউনিমিণ কোচিং। এ সকল প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় বিসিএস ক্যাডার শিক্ষকদের ম্যানেজ করে তাদের নাম লিফলেটে লিখে তা ঢালাও ভাবে প্রচার শুরু করে। যাতে ছাত্র এবং অভিভাবকরা আকৃষ্ট হন। এটাই এ সকল কোচিং ব্যবসায়ের বড় পুজি। যতগুলো শিক্ষকের নাম লিফলেটে ভর্তির আগে দেওয়া থাকে ক্লাস শুরু হলে সেই সকল শিক্ষকের চেহারা দেখা যায় না।
থাকেন অনভিজ্ঞ শিক্ষকরা যারা সেই সকল বিষয়ে কিছুই জানেন না কিংবা জানলেও অধ্যায়নরত কোন কলেজে বা ইউনিভারসিটিতে পরাশুনা করে। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রদের কাছ থেকে লুটে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কোচিং এর পরিচালকবৃন্দরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী এবং দুঃসর্ম্পেকর ক্ষমতাশালী নেতাদের হাত করে চালাচ্ছে এই সব কোচিং এবং স্কুল ব্যবসা। অনেকে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকদের ম্যানেজ করে সাংবাদিকতার কার্ড নিয়ে কোচিং ব্যবসায় রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর পলিটেকনিক এবং বিশ্যবিদ্যালয় কোচিংগুলোর পরিচালকগন ২ (দুই) ৩ (তিন) মাসে উপার্জন করে নেয় লাখ লাখ টাকা। যা দিয়ে তারা সারা বছর বিলাশ বহুল ভাবে বসবাস করে। পরিক্ষার আগ মুহুর্ত সময়ে প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে বলে আবারও হাজার হাজার টাকা নিরীহ ছাত্রদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেই। কারণে অকারণে জরিমানা ধরে ও কোন ছাত্র বেতন দিতে দেরি করলে সন্ত্রাসীদের দ্বারা তার মোবাইল, ল্যাপটপ হাতিয়ে নেই যা বিক্রি করার পরে কমিশন পাই কোচিং কর্তৃপক্ষ। আর তারা বিজ্ঞাপন দেওয়ার নামে সমস্ত কুষ্টিয়া শহরকে ব্যানারের চাদরে মুড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যুৎতের থামগুলো বানিয়েছ তাদের রং তুলির কাগজ। তাদের সাথে কথা বলে বোঝা যায় যে, শহরটা তাদের নিজের। শিক্ষক এবং শিক্ষিকা ও অনেক সময় ছাত্রীদের মাঝে সৃষ্টি হয় নিবীড় সম্পর্ক যা কোন দিন চিন্তাও করা যায় না। তাদের ভুল সংশোধনের কথা বল্লে তারা বলে এটা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এই সকল কোচিং সেন্টারে শিক্ষকদের আচরণ সন্ত্রাসীদের মতো। এতে সেই সকল কোচিং এবং স্কুলের ছাত্ররা শিক্ষকদের কাছ থেকে কি শিখতে পারে? আজকের শিক্ষক কিংবা ছাত্রদের মধ্যে কোন শিক্ষার ছোয়া নেই বল্লেই চলে। এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চাই অভিভাবক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন অভিজ্ঞ মহল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন