রবিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪

ফলোআপ : পোড়াদহে আওয়ামীলীগের দুই গ্র“পের সংর্ঘষে একজন নিহত

২৫ বাড়ীতে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ লুটপাট এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে একাধিক পরিবার 

ষ্টাফ রিপোটার : মিরপুর উপজেলার পোড়াদহে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে নুর ইসলাম (৫০) নামের এক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নিহত ও আট জন আহত হওয়ার ঘটনায় সেখানে বাড়ীতে বাড়ীতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সেসময় পুলিশ গুলি ছুড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে ব্যর্থ হয়। ফলে এলাকার অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে নিহত নূর ইসলামের সমর্থকরা প্রতিপক্ষ পারভেজ’র বাড়িসহ আরো কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও লুটপাট করে। এসময় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও বেশ কয়েকটি বাড়ি ভস্মীভুত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদেরকে ছত্র ভঙ্গ করে। এদিকে নিহত নুর ইসলামের লাশ দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হ?—ান্তর করা হলে বিকালে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পোড়াদহ বাজারের পাশে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান পারভেজ গ্র“পের সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ বাধে। সংর্ঘষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নুর ইসলাম নিহত হয়। আহত হয় আরো আটজন। এ ঘটনার পরে নিহত নূর ইসলামের পক্ষের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে প্রতিপক্ষ পারভেজসহ তার সমর্থকদের
অন্তত ২৫ বাড়ীতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এতে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়েছে।  শুক্রবার রাত থেকে চলে আসা হত্যা ও এসব পাল্টা সহিংসতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রাণভয়ে অনেকেই বাড়ী ছেড়েছে।  হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পারভেজ গ্র“পের রিন্টু ও রকি নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, যেহেতু এলাকায় উত্তেজন চলছে, সেহেতু এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন