রবিবার, জানুয়ারী ০৪, ২০১৫

জাত গেল জাত গেলো বলে একি আজব কারখানা

বাউল কন্ঠ-২


স্টাফ রিপোর্টার : বাউল আর তার বৈষ্ণব কুষ্টিয়া শহর ঘুরে একটু বিশ্রামের জন্য শহরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কের পাশে নির্মিত তমিজউদ্দিন মার্কেটের পেছনে কুষ্টিয়া হাই স্কুল মাঠের সবুজ ঘাসে বসার বাসনা নিয়ে ছুটে যায়। মাঠে বাউল আর তার বৈষ্ণব গিয়ে যা দেখলো তাতে তাদের চক্ষু চড়কগাছে উঠার উপক্রম। বাঁশের উপর বাঁশ, সারা মাঠ ঘেরা। ইটের পর ইট পড়েছে। বিশাল বিশাল গেট। বাউল বলে কিগো বৈষ্ণব এসব কি দেখছি। এই মাঠে এর আগে মেলার নামে যা হয়েছে তা আবার... বৈষ্ণব জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে গোসাই? এই মাঠের মেলায় কত রক্ত ঝরেছে, মারপিট হয়েছে, লটারীর মটর সাইকেল ছিনতাই হয়েছে, কোর্টে গেছে, মামলা হয়েছে, নগ্নতার ছড়াছড়ি, জুয়ার হাট বসেছে। এই মেলার নিউজ লেখার দায়ে শিকল পত্রিকার প্রেস ও অফিস পুড়ে ছাই হয়েছে। তাই এই মাঠের মেলা দেখলেই বুকের মধ্যে ছ্যানাৎ করে ওঠে। এবার কার মায়ের বুক খালি হবে, কার মাথার রক্ত ঝরবে, কার লটারীর পুরস্কার ছিনিয়ে নেবে কমিটি, পুড়ে ছাই হবে কোন অফিস ইত্যকার নানা অশনি সংকেতে আমার বুক ধড়ফড় করছে গো গোসাই। গোসাই বলে পাশেই থানা, শহরের কলিজার মধ্যি বশে এহেন কাম হয় কি করে গো বাউল? মাইনসের বিবেক বুদ্ধি কি একেবারেই চুলায় গেলো নাকি। শিক্ষিত মানুষগুলোর বিবেক-বুদ্ধি কি আজ ট্যাকার কাছে জিম্মি হইয়া পড়ছে? এমন সময় বাউল তার হাতের একতারা উঁচিয়ে গেয়ে ওঠেন ‘জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা...’ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন