সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১১, ২০১৩

কুষ্টিয়া-হরিপুর সেতু নির্মাণ কাজে অনিশ্চয়তা

কুদরতে খোদা সবুজ : দীর্ঘ প্রতিশ্রুত পর কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও তা থেমে গেছে। সেতু নির্মাণ কাজের জন্য যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তারা রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হরিপুরবাসীসহ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সেতু বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা। কুষ্টিয়া শহরের একেবারে গাঁ ঘেঁষে অবস্থান জেলার সব থেকে বড় ইউনিয়ন হরিপুরের। তবে গড়াই নদী শহর থেকে হরিপুরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। হরিপুরসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন গত দেড় যুগ ধরে গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। বিএনপি সরকার আমলের শেষ দিকে তড়িঘড়ি করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন করে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এজন্য সেতু নির্মাণের স্থান নির্ধারণসহ মাটি পরীক্ষা থেকে শুরু করে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শেষ হয়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। টেন্ডারে সেতু নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স আনোয়ার হোসেন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মাহবুব-উল-আলম হানিফ গত বছরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। অভিযোগ উঠেছে অযোগ্য ও অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সেতু নির্মাণের কাজ দেয়ায় তা ভেস্তে যেতে বসেছে। কাজ শুরু করার মাস দুয়েকের মাথায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সরেজমিন গিয়ে সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেতু নির্মাণের জন্য ৫ দফায় টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তারপরও কোন ঠিকাদারকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সর্বশেষ গত বছরের মাঝামাঝি ৬ষ্ঠ বার টেন্ডার আহ্বান করা হলে একমাত্র ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন টেন্ডার দাখিল করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নতুন করে টেন্ডার করে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে ৬ থেকে ৭ মাস লেগে যাবে বলে জানান এলজিইডির কর্মকর্তারা। এলজিইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ সরকারের মেয়াদে হরিপুর সেতুর কাজ শুরু করা নাও সম্ভব হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন