শুক্রবার, মার্চ ০১, ২০১৩

ঝিনাইদহে জামায়াত-শিবিরের সাথে র‌্যাব পুলিশের সংঘর্ষে ওসি, ইউএনওসহ আহত ৫০

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরে জামায়াত-শিবিরের সাথে র‌্যাব-পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে কোটচাঁদপুর থানার ওসি মনিরুদ্দিন মোল্লা ও মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ সহ ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে কোটচাঁদপুর শহরের আলামপুর এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরেরকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে শহরে আসার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ আলামপুর ব্রিজের কাছে তাদের বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশ ও জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালিন জামাত কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কমপক্ষে ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের কোটচাঁদপুর ওসি ওসি মনিরুদ্দিন মোল্লা সহ ৭ কনেস্টবল আহত হয়। পুলিশের গুলি ও রাবার বুলেটে আহত হন জামায়াত-শিবিরের অন্তত ১৭ জন নেতাকর্মী।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহেশপুর ডাকবাংলো মোড়ে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সহ ২৫ জন আহত হন।
এ ছাড়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী ও তেতুলতলা বাজারে জামায়াত-শিবির কর্মীরা যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। সেখানে ব্যাপক টিয়ারসেল ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ভাংচুর করা হয়েছে র‌্যাবের গাড়ি। আত্মরক্ষার্থে সেখান থেকে পুলিশ ও র‌্যাব প্রত্যাহার করা হয়েছে। সদর উপজেলার ডাকবাংলা এলাকায় ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিবির কর্মীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিজিবি তলব করা হয়েছে বলে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন। কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন