শুক্রবার, মার্চ ০১, ২০১৩

কুমারখালীতে কালবীকে পিটালো আওয়ামী ও জাসদ ক্যাডারা

স্টাফ রিপোর্টার : আমারদেশ পাঠকমেলার কুমারখালী শাখার সভাপতি ও স্থানীয় দৈনিক সময়ের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার এবিএম রফিকুল্লাহ কালবীকে পুলিশের উপস্থিতিতে বেধড়ক পিটিয়েছে আওয়ামী ও জাসদ (ইনু) ক্যাডারা। হাতকড়া পড়িয়ে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা চলছে। মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী ও জাসদ সন্ত্রাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় এবিএম রফিকুল্লাহ কালবী স্থানীয় গুড়ের বাজার সংলগ্ন কাচা বাজার করছিল। এ সময় এমপির দেবর শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান নিপন ও কুমারখালী জাসদ এর সভাপতি এটিএম আবুল মুনসুর মজনুর নেতৃত্বে প্রায় ৫০/৬০ জন দলীয় ক্যাডারা লাঠি সোটা নিয়ে তার উপর হামলা করে এলোপাতাড়ি ভাবে মাথায় পিঠে এবং পায়ে আঘাত করে।  ঐসময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তীতে রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় নিয়ে হাজত খানায় আটকিয়ে রাখে। কালবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পেশাদারিত্বের কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও পরিচয় পত্র রেখে হাতকড়া পড়িয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ। ঐ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার মাথায় আঘাত গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী নেওয়াজ বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আমার দেশ পত্রিকার পাঠক সমাজ কুমারখালী শাখার সভাপতি এ বি এম রফিকুল¬াহ কালবীর চিকিৎসার ও শাররীক অবস্থার খোঁজখবর নিতে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ কুতুবুল আলম নতুন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য ডাক্তার শরিফুল ইসলাম, থানা স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পলাশ, যুবনেতা সাইদুল ইসলাম, হাসিবুল আলম উল¬াস, ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান সবুজ, আলতাফ হোসেন জজ প্রমূখ। নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানা। অবিলম্বে কালবীর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন