সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা শিক্ষকের প্রতারণা!

রাশেদুন নবী রাশেদ, ইবি : জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সাথে প্রতারণা করেছেন বলে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক শিক্ষকের নাম শহিদুল ইসলাম বলে জানা গেছে।সূত্র মতে- পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার জাতরা হাসানিয়া জলিশা দ্বিমুখী ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল সেকশনের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক শহিদূল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে অনুষ্ঠিত ফাজিল (স্নাতক) পরীক্ষার ইংরেজী বিষয়ের পরীক্ষক হওয়ার আবেদন করেন। আবেদনে প্রতারণার অশ্রয় নিয়ে তিনি নিজেকে ফাজিল ক্লাসের ইংরেজী বিষয়ে ক্লাস নেওয়ার তথ্য প্রদান করেন। আবেদনকারী শহিদূল ইসলামের প্রদত্ত তথ্যকে সত্য মনে করে ইবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস তাকে ফাজিল (স্নাতক) দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজী বিষয়ের পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। গত শনিবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে ইংরেজী বিষয়ের ২৫০টি খাতা উত্তোলন করে এলাকায় ফিরে যান।এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-‘জুনিয়র সেকশনের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি মাদ্রাসায় ফাজিল (স্নাতক) শ্রেনীর ইংরেজী বিষয়ে ক্লাস নেন। সে সূত্র ধরেই তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদ্রাসা সেকশনের পরীক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আবেদন গৃহীত হওয়ায় তিনি খাতা উত্তোলন করেছেন।’ দাখিল শ্রেনীর শিক্ষক হয়েও তিনি কোন যোগ্যতায় ফাজিল (স্নাতক) শ্রেণীর ইংরেজী পড়ান এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য কোন তদবির না করার অনুরোধ করা হলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিসের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে নিউজ না করার জন্য তদবির করেন।জাতরা হাসানিয়া জলিশা দ্বিমুখী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো: নুর উদ্দিন বলেন-‘মাদ্রাসায় ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় জুনিয়র সেকশনের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ফাজিল (স্নাতক) শ্রেনীর ক্লাস নেন। এই কারনে তিনি শহিদুল ইসলামের আবেদনে ইংরেজী বিষয়ে পাঠদান করেন বলে সুপারিশ করেছেন।’ দাখিল ক্লাসের জন্য নিয়োগ পাওয়া এক জন শিক্ষক ফাজিল (স্নাতক) ক্লাসের ক্লাস নিতে পারেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি চুপ থাকেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফ মোল্লা বলেন-সাধারণত কোন শিক্ষক পরীক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করলে অধ্যক্ষের সুপারিশ নিয়ে করেন। শহিদুল ইসলামের আবেদনে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের সুপারিশ থাকায় আমরা তাকে পরীক্ষক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছি। প্রতারণার বিষয়টি সত্য হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন