রবিবার, মার্চ ২৩, ২০১৪

খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ


আঃলীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হামলা মামলা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে----------সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী

ষ্টাফ রিপোটার : বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের উদ্যাগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে জেলা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল আমিন কানাই এর পরিচালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেজবাউর রহমান পিন্টু। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি কুষ্টিয়া জেলা ১৯ দলীয় জোটের আহবায়ক সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার শামসুজ্জাহিদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গাজী গোলজার হোসেন গোলো, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুঈদ বাবুল, কুমারখালী থানা যুবদলের সভাপতি আল কামাল মোস্তফা, জেলা যুবদল নেতা খন্দকার সামসদ্দোহা লাল্টু, সদর থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জয়নাল আবেদীন সাধু, কুষ্টিয়া শহর ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিথুন। সভায় সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী তার বক্তব্যে বলেন, নব্য স্বৈরাচারী এ অবৈধ্য সরকার একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করার লক্ষে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর হামলা মামলা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে আর এরই অংশ হিসেবে দুদকের করা ষড়যন্ত্র মূলক একটি মিথ্যা মামলায় বিএনপির
চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিহাসে অন্যায়-নির্যাতন চিরদিন পরাজিত হয়েছে। নির্যাতন করে এই সরকারও বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। ৫ জানুয়ারী একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে যে তারা জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ কারনে তারা উপজেলা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতী, জাল ভোট প্রদান, ভোট কারচুপি, ভোট ডাকাতি করে বিএনপির এবং ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থীদের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিচ্ছে। সেই সাথে তারা জনগণের বিরুদ্ধে হামলা, মামলা ও হয়রানি করে দেশে অশান্তি ছড়িয়ে দিয়েছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম লাবু, কয়া ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, জেলা জাসাসের যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম টুটুল, জেলা কৃষকদল নেতা মোকারম হোসেন মোকা, শহর যুবদল নেতা আল আমিন শাহীন, কল্লোল, খোকন, সনি, হৃদয়, নন্দলালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, জগন্নাথপুর ইউপি যুবদলের সভাপতি আব্দুল হান্নান, কয়া ইউপি যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস আলী, মামুন, আকাদ্দেস, এলিন, ওহিদুল ইসলাম, সুমন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন