সোমবার, জুলাই ১৪, ২০১৪

গাংনীর বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের বেহাল দশা কয়েক কোটি টাকার মালামাল ধ্বংসের পথে

মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী চিৎলা বীজ প্রক্রিয়াকরন কেন্দ্রের বেহাল দশা বিরাজ করছে। আধুনিক যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহারিত না হওয়া ও দক্ষ অপারেটর না থাকার কারণে একদিকে যেমন কোটি টাকার যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে তেমনি সঠিকভাবে বীজ প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বীজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে অফিস সহকারী একাধিপত্য বিরাজ করে বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি তার ঔতিহ্য হারাতে বসেছে। মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চিৎলা পাটবীজ খামারের অভ্যন্তরে ১৯৮০ সালে স্থাপিত হয় এই বীজ প্রক্রিয়াকরন কেন্দ্রটি। এটি এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের জন্য গত ২০১০ সালে ভারত থেকে আনা হয়েছে একটি অত্যাধুনিক ভিটাভেক্স মেশিন। বীজ সংরক্ষনের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম, নিজস্ব বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য জেনারেটর, বীজ পরিবহনের জন্য আছে তিনটি ট্্রাক। ভিটাভেক্স মেশিনটির কোন অপারেটর না থাকায় শ্রমিকদের দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে বীজ প্যাকেটজাত করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে ফোরম্যান ও মেকানিকস কোন কাজ না করেই মাস শেষে বেতন উত্তোলন করছেন। কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে এ অফিসের হাসান নামের এক ফিল্ড সুপারভাইজার নিজেই কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে থাকেন। তিনি নিজেই অফিস সহকারী , গুদাম রক্ষক, হিসাব রক্ষক হিসেবে কাজ করেন।  দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ অফিসে না আসায় হাসানকে দিয়ে
যাবতীয় কাজ করান। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে মাসুদ আহমেদের স্বাক্ষর নকল করে কাজ চালিয়ে নেন। অফিসে কোন প্রহরী না থাকায় পরিবহন যন্ত্রপাতি ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে স্থানীয় লোকজন প্রকাশ্যে জানালার গ্লাস ও যানবাহনের যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে গেছে।  একটি সুত্র জানায়, বীজ প্যাকেটজাত ও তার আনুসাঙ্গিক মালামাল ক্রয় ও টে-ার সব কিছুই হাসান নিজেই গোপনে করে থাকেন। এক্ষেত্রে তিনি হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা কমিশন। দির্ঘ ১৮ বছর এখানে চাকুরী করার কারণে নিজেকে কর্তৃপক্ষের নিজের লোক এমনকি ক্ষমতাসীন দলের এক মন্ত্রির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নানা ধরণের ফায়দা লুটে থাকেন। আবার স্থানীয় কিছু লোকের মারফতে পাটবীজ গোপনে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। এ ব্যাপারে ডি.ডি মাসুদ আহম্মেদ বলেন, যেহেতু দু’স্থানে অফিস করতে হয় সেহেতু অনেক কিছু করতে হয়। নিয়মানুযায়ি কেউ আমরা চলতে পারবো না। আমার স্বাক্ষর ছাড়া কোন কাজ আটকে গেলে সেটা অবশ্যই অন্য কেউ স্বাক্ষর করবেন এটাই স্বাভাবিক। এতে দোষের কিছু না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন