মঙ্গলবার, আগস্ট ১২, ২০১৪

১০ দিনেও রাশেদ অপহরণের মামলা নেয়নি পুলিশ হত্যা না অপহরণ এই আশঙ্কায় কাটছে পরিবারের দিন

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ার খোকসার বহুল আলোচিত স্কুলছাত্র রাশেদ (১৫) অপহরণের ঘটনার ১০ দিন পেড়িয়ে গেলেও পেরিয়ে গেলেও এখনো সাধারণ ডায়েরীতেই সীমাবদ্ধ রেখেছে পুলিশ। এটি অপহরণ না অপহরণোত্তর হত্যা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে রাশেদের পরিবার। এখনো পর্যন্ত কোন ক্লু বের করতে না পারাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা এমনটিই দাবি এলাকাবাসীর। পুলিশের দাবি অচিরেই তারা প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করছেন।  গতকাল সোমবার দুপুরে রাশেদের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। তাদের সন্দেহের তীর অবশ্য বাড়ির পাশের আরেক স্কুলছাত্রীর পরিবারের দিকে। রাশেদের কথিত প্রেমিকা ঐ স্কুলছাত্রী পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছে জবানবন্দী দেয়, ঐদিন রাতে রাশেদ আমার সাথেই ছিল। কিন্তু দিন গড়াতে না গড়াতেই ঐ স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য পাল্টে যায়। গ্রামের সবাই জানলেও ও পুলিশের কাছে জবানবন্দী দেওয়া রাশেদের কথিত প্রেমিকা সাংবাদিকদের জানায়, আমার সাথে রাশেদের কোন সর্ম্পকই ছিলো না। সেদিন রাতে আমার ঘরেও ছিল না।  তবে জবানবন্দী দেওয়া বক্তব্য ও এখনকার বক্তব্যের গড়মিলের রহস্য ১০ দিন পরেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। রাশেদের বাবার দাবি, রাশেদকে ঠান্ডা মাথায় অনেক প্লান-প্রোগ্রাম করে অপহরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঐ মেয়ের বাবাকে আটক করলেই সব রহস্যের জট খুলে যাবে।  রাশেদের একান্তু কাছের বন্ধু আমিরুল দাবি করেন, ঐ মেয়ের সাথে রাশেদের দীর্ঘ ২ বছরের সর্ম্পক।  আমিরুলের এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে ঐ স্কুলছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ের সাথে রাশেদের কোন সর্ম্পক ছিলো না। এলাকাবাসীর দাবি প্রশাসনের নাটকীয় ভূমিকায় এখনো অধরাই থেকে যাচ্ছে রাশেদ অপহরণের ঘটনা। পুলিশ যদি একটু তৎপর ভূমিকা পালন করতো তাহলে অবশ্যই রাশেদ অপহরণের
রহস্যের জট খুলতো। তারা পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে বলেন, পুলিশ রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।  অবশ্য পুলিশ প্রশাসনের দাবি প্রেমঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাশেদ নিখোঁজ হতে পারে। খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা রাশেদকে উদ্ধারে সকল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট দিবাগত রাতে উপজেলার পাতিলডাঙ্গী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় রাশেদ। ঘরের ভিতর থেকে দরজা লক করা থাকলেও রহস্যজনকভাবে তাকে পাওয়া না গেলে পরদিন রাশেদের পিতা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে খোকসা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। প্রথম দিকে প্রশাসনের জোর তৎপরতা থাকলেও বর্তমানে ঝিমিয়ে পড়েছে তাদের কার্যক্রম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন