মঙ্গলবার, আগস্ট ১২, ২০১৪

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইবি অধ্যাপিকার সাংবাদিক সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার : দাম্পত্য জীবনে নিজ স্বামী কর্তৃক দীর্ঘদিনের নির্যাতন ও প্রানণাশের হুমকি থেকে রেহায় পেতে অবশেষে স্বেচ্ছায় বিবাহ বিচ্ছেদ করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপিকা ড. নূরুন নাহার নিরা। কিন্তু এঘটনায় ক্ষিপ্ত ও বেপরোয়া হয়ে উঠে ঐ অধ্যাপিকার সাবেক স্বামী কুষ্টিয়া জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. আসাদুজ্জামান খান মিলন। এই আইনজীবী তার সাবেক স্ত্রী ইবি অধ্যাপিকা নুরুন নাহার ও তার পরিবারের লোকজনদের নানাভাবে প্রানণাশের হুমকি প্রদান করায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরীসহ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তিনি। সোমবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়ার থানা পাড়াস্থ একটি বেসরকারী সংস্থা “ফেয়ার”র মিলনায়নে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে নিজ স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি প্রফেসর ড. নূরুন নাহার, আইন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া অভিযোগ করছি যে, আমার সদ্য সাবেক স্বামী মোঃ আসাদুজ্জামান খান মিলন, এ্যাডভোকেট, জজ কোর্ট কুষ্টিয়া চরিত্রগতভাবে একজন লম্পট, মাদকাশক্ত, প্রতারক, যৌতুকলোভী, অর্থ আত্মসাৎকারী, নারী আসক্ত ও নারী নির্যাতনকারী । সে বিগত ১৪ বছর যাবৎ আমার উপার্জিত সমস্ত অর্থ নির্যাতন ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি’র মাধ্যম্যে ছিনিয়ে নেয়। গত চার বছর আগে সে ঢাকায় রেহেনা আত্তার মিলি নামের এক হোটেল কলগার্ল’কে গোপনে আমার বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে এবং আমাকে চাকুরী সূত্রে বাধ্যতামুলক বলে আমার সাবেক স্বামী মিথ্যা তথ্য দিয়ে বসবাস করতে থাকে। এ কলগার্ল এর বিলাসী জীবন যাপনের জন্য বড় অর্থের টাকা প্রয়োজন হওয়ায় গত ৭ দিন আগে সে আমার কাছে ধারের টাকা পরিশোধের মিথ্যা
প্রয়োজন দেখিয়ে আমার কাছে দশ (১০) লক্ষ্য টাকা দাবী করে । আমি সেই টাকা দিতে না পারায় সে কৌশলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে সাংসারিক কাজে বাজারে পাঠায় এবং সেখানে আমার ৩ ঘন্টা সময় লাগে। এই সুযোগে এ্যাড. আসাদুজ্জামান খান মিলন বড় একটি সাইড ব্যাগে আমার শয়ন কক্ষের বক্স খাটের পাটাতনের নিচে রক্ষিত আমার পচিশ (২৫) ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে এবং আমি বাসায় ফেরার সংগে সংগে সে বলে “ নিরা আমার এখনি ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যারিস্টারীতে ভর্তি হওয়ার জন্য রওয়ানা হতে হবে, দেরী করলে বাস পাব না, ফেরীঘাটে রাত কাটাতে হবে”। এরপর সে তরিৎগতিতে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমি ঘরে ঢুকে বক্স খাটের পাটাতন বিছানা সবকিছু খোলা দেখে সন্দেহ হলে আমি আমার স্বর্নালংকার খুজে না পেয়ে তাকে মোবাইলে জিজ্ঞাসা করি। তখন সে বলে, “তুই থানায় জিডি করলে আমি তোকে ডিভোর্স দিব”। এতদ্সত্ত্বেও এবিষয়ে আমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করেছি, জিডি নং ৪২০, তারিখ ১০/০৮/১৪। এই জিডির বিষয় অবগত হয়ে আসাদুজ্জামান খান মিলন তার মোবাইল থেকে আমাকে ও আমার আত্মীয়স্বজন ও বোনদেরকে জীবন ও সম্পদ ক্ষতির হুমকী দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি এবং আমি সরকারের কাছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাসহ অভিযুক্ত এ্যাড. আসাদুজ্জামান খান মিলন’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন