বুধবার, আগস্ট ০৬, ২০১৪

কুমারখালীতে পল্লী বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিং অতিষ্ঠ জনজীবন ॥ কর্তৃপক্ষের দাবী বরাদ্ধ কম

স্টাফ রিপোর্টার : জেলার কুমারখালীতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নামে লাগামহীন ভেলকীবাজি চলছে। রাত-দিনে ৫ থেকে ৭ বার এই লোডশেডিংয়ের ফলে ভোগান্তির শেষ নেই। অথচ প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ইতিমধ্যেই সারা দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই বললেও স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছেন চাহিদা মত বরাদ্ধ না পাওয়ার কারণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ এলাকা কুষ্টিয়ার কুমারখালী। বর্তমানে পাওয়ার লুম তাঁতের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। শহরের পাশাপাশি এ শিল্পের প্রসার ঘটেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং নামের ভেলকীবাজির কারণে একদিকে যেমন উৎপাদনে ধ্বস নেমেছে অন্যদিকে স্থাবির হয়ে পড়েছে অর্থনৈতিক চাকা। কুমারখালী উপজেলার গ্রামগুলোতে দুইটি ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। কুমারখালী ভায়া খোকসা-রাজবাড়ী ফিডারের মাধ্যমে জোনাল অফিস সরাসরি সুবিধা অনুযায়ী লোডশেডিং ও করে থাকেন।  অপর দিকে বিদ্যুৎ বিতরনের মূল ফিডার বটলতৈল থেকেই নিয়ন্ত্রন করা হয় গড়াই পান্টিসহ বেশ কিছু
এলাকা। কুমারখালী ভায়া খোকসা-রাজবাড়ী ফিডারের মাধ্যমে জোনাল অফিসের ২টি সাবষ্টেশন রয়েছে। স্থানীয় কর্র্তৃপক্ষ, কুষ্টিয়ার বটতৈল মূল বিতরণ ফিডার, ঢাকা ও রাজবাড়ী ফিডার সমন্বয় করতে ব্যর্থ হলেই অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায় লোড শেডিং এর মাত্রা। এসময় রাত-দিনে ৫ থেকে ৭ বার লোডশেডিং হয়, আর এ লোডশেডিং আধা ঘন্টা থেকে কখনও কখনও ৩ঘন্টা পর্যন্ত থাকে।  অন্যদিকে গড়াই নদীর ওপাড়ে পান্টি এলাকায় কুষ্টিয়ার বটতৈল মূল বিতরণ ফিডার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে সেখানের অবস্থা আরো খারাপ। জোনাল অফিস এই এলাকায় কিছুই করার নেই বলে দায়ীত্ব এড়িয়ে যায়। তবে কুমারখালী জোনাল অফিসের এজিএম মতিউর রহমান জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি সাবষ্টেশনের কাজ চলছে। এটি চালু হলে গড়াই পাড়ের এলাকার লোডশেডিং ও বিতরণ সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। তিনি আরো জানান, ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার থাকলেও সর্বোচ্চ ৫ মেগাওয়াট পেয়ে থাকেন, তাই বাধ্য হয়েই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ঈদের সময় অফিস আদালত, কল-কারখানা বন্দ হওয়ায় সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, কিন্ত এসময়ও সেই একই পর্যায়ের লোডশেডিংয়ের ভেলকীবাজি কেন হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কুমারখালী জোনাল অফিসের এজিএম মতিউর রহমান আরো জানান, এসময় আমরা গড়ে ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাই ঠিকই, তবে এসময় ব্যবহারও বৃদ্ধি পায় বলে লোডশেডিং করতে বাধ্য হই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন