বুধবার, আগস্ট ০৬, ২০১৪

আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হচ্ছে নিরবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাঙালির মনন ও জীবনজুড়ে আছে যাঁর অপার সৃষ্টি সম্ভার, তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ আজ ২২ শ্রাবন তার ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। এদিনে কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে কোন আয়োজন নেই। তার জন্ম জয়ন্তী অর্থাৎ ২৫ বৈশাখ কুঠিবাড়িতে যেখানে পা ফেলার জায়গা থাকে না সেখানে কবির মহাপ্রয়াণ দিবসে শুনশান নিরবতা। এদিকে বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়ি আদি রঙে ফেরায় খুশী দর্শনার্থীরা। সময় বদলায়৷ আধুনিকতা থেকে উত্তর আধুনিকতায় যাত্রা করে সময়৷ তারপরেও যার প্রাসঙ্গিকতা বঙ্গজীবনের অঙ্গ হয়ে থেকে যায়, তিনিই রবীন্দ্রনাথ৷ দেড়শো বছর পরেও সেই কবিকে আজকের কবি বলেই মনে করা হয়৷ রবীন্দ্র জীবন ও সাহিত্যের সঙ্গে মিলেমিশে আছে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ। এখানেই তার প্রতিভার পুর্ন বিকশিত হয়েছিল বলে মনে করেন রবীন্দ্রপ্রেমীরা। শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। এখানে বসেই কবি রচনা করেছেন কালজয়ী অনেক কাব্যগ্রন্থ, ছোট গল্প, নাটক ও উপন্যাস। যে গীতাঞ্জলী কাব্য রচনা করে কবি নোবেল জয় করেছিলেন, সে কাব্যের সবটায় তিনি রচনা করেছিলেন শিলাইদহে বসে। এখানে কবির জন্ম জয়ন্তী খুব ধুমধামে পালন করা হয়। কিন্তু প্রয়াণ দিবসে এখানে নেই কোন আয়োজন।
বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা জন্ম জয়ন্তীর মতো কবির প্রয়াণ দিবসেও সরকারী প্রর্যায়ে কর্মসূচী গ্রহণের দাবি জানালেন। তবে দীর্ঘদিন পরে হলেও কুঠিবাড়িতে রঙের প্রলেপ
পড়ায় খুশি অনেক দর্শনার্থীরা। রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি, প্রত্মতত্ত্ব বিভাগ, সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয় মখলেছুর রহমান ভূঁইয়া,কাষ্টোডিয়ান, বলেন মৃত্যুবার্ষিকীতে বড় ধরণের কোন অনুষ্ঠান নেই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।  শিলাইদহ কুঠিবাড়িকে পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস পালনে উদ্যোগ নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা রবীন্দ্র ভক্তদের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন