বুধবার, আগস্ট ০৬, ২০১৪

চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের কর্মবিরতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাকিব উদ্দিন রনি লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় প্রায় ৪ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রটির কর্তরত চিকিৎসক মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করে। কর্মবিরতি চলাকালীন সময়ে বর্হিরবিভাগের সকল কার্যক্রম বন্ধ থকালেও ধীরগতিতে জরুরী বিভাগের কার্যক্রম চলতে দেখা যায়। ফলে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা সাধারন রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় চিকিৎসক নেতাদের সাথে জরুরী বৈঠকে বসেছিলেন ফলে চিকিৎসা সেবার কিছুটা বিঘœ ঘটেছে। তবে কর্মবিরতির কোন কর্মসূচী তারা দেন নাই বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যকপ্লেক্্ের যেয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর দীর্ঘ লাইন চোখে পড়লেও চিকিৎসকদের চেম্বার ছিল ডাক্তার শূন্য। এদিকে বর্হির বিভাগের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ
লাইন থাকলেও কার্যক্রম ছিল বন্ধ।   সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন যুবক হাসপাতাল কোয়াটারে অবস্থিত আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কক্ষে ঢুকে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনার পর কুমারখালী ইউএনও ও থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, সোমবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানানে অভিজান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর ও শাজাহান নামের ২ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে। কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোতাহারুল ইসলাম বলেন জানান, চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় তারা বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। একই সাথে বিষয়টি জেলা সিভিলসার্জনকেও জানানো হয়েছে। থানায় একটি মামলা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রটির এ কর্মকর্তা। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে জেলাপ্রশাসক বেশ কয়েকটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন অনিয়নের জন্য ক্লিনিক মালিকদের জরিমানা করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন