বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৭, ২০১৪

কুষ্টিয়ার খাজানগরে চাতাল কল মালিক সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় যে কোন সময় বাড়তে পারে পারে চালের মূল্য

স্টাফ রিপোর্টার : সক্রিয় দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগনে চাতাল কল মালিক সিন্ডিকেট চক্র। আর এ কারণে যে কোন সময় বাড়তে পারে পারে চালের মূল্য। এর আগে বহু বার এই সিন্ডিকেট চক্রের কারনে কুষ্টিয়ার খাজানগর চালের মোকাম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আবারো চালের মোকাম নতুন করে উত্তপ্ত
হয়ে উঠতে বিভিন্ন খুচরা ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে এমনই তথ্য মিলেছে। এর আগে হঠাৎ করে বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এক লাফে এত দাম বাড়ার কোনো কারণ খুঁজে পাইনা ভোক্তারা। এদিকে এই সিন্ডিকেটের কারণে পূর্বে বহুবার চালের দাম বাড়লেও বাজার মনিটরিং টিমের সদস্যদের নেই কোনো তৎপরতা। অন্যদিকে মোকামে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পরে ব্যপকভাবে।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাজানগরের একজন চাল ব্যবসায়ী বলেন, খাজানগরের রশিদ এগ্রো ফুডসহ ১০ রাঘব বোয়াল চাতাল মালিকের গোডাউনে বিপুল পরিমাণ ধান মজুদ থাকে। বড় বড় এসব ব্যবসায়ীদের সারাদেশে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টির বেশি গোডাউন রয়েছে। মজুদ রেখে তারা হটাৎ করে চড়া দামে চাল বিক্রি করে। ওই ব্যবসায়ী বলেন, এই সিন্ডিকেট চক্র যেই দামে ধান কেনে পরে অন্য ব্যবসায়ীর নিকট ডাবল দামে তা বিক্রি করে। খাজানগরের একাধিক চাতাল ব্যবসায়ী জানান, বড় বড় অটো রাইস মিলের কাছে তারা টিকতে পারছেন না। এসব আটো রাইস মিল মালিকরা তাদের দামে ধান নিয়ে যাচ্ছে এবং ইচ্ছে মত সিন্ডিকেট করছে। ফলে ছোট ছোট মিল-চাতালগুলো চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে প্রতিদিনই ধানের দাম বাড়ছে। ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পিছনে সিন্ডিকেট কাজ কারছে। কুষ্টিয়া বড় বাজারের একজন খুচরা চাল বিক্রেতা বলেন, খাজানগরের মোকামে মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে হাটৎ করে চালের মূল্য বৃদ্ধি পাই। জেলা গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানায়, খাজানগরে ব্যবসায়ীদের শক্ত সিন্ডিকেট রয়েছে। ধান ও চালের বাজার এরাই অস্থির করে তোলে। এর পিছনে ১০ চাতাল মালিকের কারসাজি রয়েছে বলেও তাদের নিকট তথ্য রয়েছে।  অন্যদিকে কুষ্টিয়া খাজানগরের চিহ্নিত চাউল সিন্ডিকেটের হোতারা নিজেদের খেয়াল খুশী মত দফায় দফায় চাউলের মূল্য বৃদ্ধি, অটো রাইচ মিল থেকে চাউলের পুষ্টি গুনাগুন নষ্ট করার কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের মানুষের ক্ষোভ অনেক দিনের। বর্তমানে ভারত থেকে উন্নতমানের চাউল আমদানী হওয়ায় চাউলের বাজার রয়েছে ক্রেতা সাধারনের নিয়ন্ত্রনে। ভারত থেকে চাউল আমদানী করে দেশে চাউলের বাজার নিয়ন্ত্রন, কুষ্টিয়ার চাউল সিন্ডিকেটের জিম্মিদশা থেকে সাধারন মানুষের মুক্তির জন্য বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলাবাসী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন