বুধবার, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪

বালিয়াকান্দিতে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উদাসীনতায় সার বিক্রির বাজার নিয়ন্ত্রন মুখ থুবড়ে পড়েছে

হাবিবুর রহমান, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উদাসীনতায় সার বিক্রির বাজার নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে নকল সার ও কীটনাশক ব্যবসা চলছে জমজমাট। ধরা ছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে জড়িত গডফাদাররা। অধরা রয়ে যাচ্ছে গডফাদার ও জড়িত কর্মকর্তাদের নাম। এতে নকল ও ভেজাল এ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে কৃষকরা। দীর্ঘদিন ধরে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তার পদে গোলাম ছামদানী দায়িত্ব পালন করলেও ভেজাল সার ও কীটনাশক সম্পর্কে রহস্য জনক কারনে তিনি নিরব থাকেন বলে কৃষকদের অভিযোগ। কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তার নিরবতা থাকার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। ইতিপুর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান নকল সার ও কীটনাশক কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল সার ও কীটনাশক উদ্ধার করে। অভিযানের গোপন খবরও ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে থানা পুলিশ দ্বিতীয়দফা অভিযান চালিয়ে প্যাকেটিং মেশিনসহ নকল সার ও কীটনাশক উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর থেকে এনিয়ে উপজেলাতে চলছে নানা রকম কল্পকাহিনী। কিন্তু ওই বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করতো কৃষি অফিসের কারা, প্রশাসনের কারা তা উদ্ধারকৃত লাল খাতায় লেখা ছিল। কিন্তু সে খাতা আর পাওয়া
যায়নি। অভিযানও মুখ থুবড়ে পড়ে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ছামদানী অফিসে বসেই সার ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সব কাজ সারেন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা যার যার মতো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বাজার নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। কৃষকরা সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের প্রতি নিয়ন্ত্রন ও ভেজাল এবং নকল সার সনাক্তের জন্য অভিযান পরিচালনার দাবী জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন