আব্দুম মুনিব : ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে অবশেষে হল ছাড়তে শুরু করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বাসচাপায় ছাত্র নিহতের জেরে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিšু‘ সেই ঘটনায় অনিদিষ্ট কালের ধর্মঘটের ডাক দেয় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পরিবহন সংগঠনগুলো। আর এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ হয়ে পরে। এর আগে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ইবির প্রধান ফটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা বাসের চাপায় টিটু নামের এক ছাত্র নিহত হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনসহ ৪০টি গাড়িতে আগুন এবং প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জরুরি সভা করে বিশ্বিবিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। এ ছাড়া রবিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ছাত্রদের এবং সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নিদেশ দেন। কিন্তু সোমবার কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পরিবহন মালিক সমিতির অবরোধের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হল প্রভোস্টের জরুরি সভায় হল ছাড়ার সময় বাড়ানো হয়। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে।
তাদের পোড়ানো গাড়ির ক্ষতিপূরণের দাবি মেনে নিলে পরিবহন শ্রমিকরা রাত থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলে মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হলত্যাগ শুরু করে। শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রেন ও বিভিন্ন যানবাহন এ চেপে রওয়ানা হয়।
তাদের পোড়ানো গাড়ির ক্ষতিপূরণের দাবি মেনে নিলে পরিবহন শ্রমিকরা রাত থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলে মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হলত্যাগ শুরু করে। শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রেন ও বিভিন্ন যানবাহন এ চেপে রওয়ানা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন