শুক্রবার, ডিসেম্বর ১২, ২০১৪

আব্দুল আনছাড়ির ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষা হচ্ছে কি

খালাস পেয়েও কুষ্টিয়া কারাগারে  বন্দি ভারতীয় নাগরিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালত থেকে বেকশুর খালাসের পরও কুষ্টিয়া কারাগার থেকে মুক্তি মিলছে আব্দুল আনছাড়ি নামের এক ভারতীয় নাগরিকের। ভারতের পশ্চিম বাংলার মালদা জেলার পান্
ডুয়া ইউনিয়নের গাজলা গ্রামের মৃত আজলু আনছাড়ির ছেলে আব্দুল আনছাড়ি। অনুসন্ধানে জানাযায়, ২০১৩ সালের ফেব্র“য়ারীতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশের হাতে আটক হয় আনছাড়ি। ঐ সময় তৎকালীন ওসি তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় বিশেষ ট্রাইবুনাল ৯২/১৪, ১৯৪৭ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫/ই (ই), ১৯৫২ সালের কন্ট্রোল অব এন্ট্রিএক্ট ধারা-৪ তৎসহ ১৯৪৭ সালের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রন আইন এর ২৩ ধারায় মামলা করেন। দৌলতপুর থানায় মামলা নং ৩, তারিখ-০৩/০২/২০১৩, জিআর মামলা ২৯/১৩। মামলা দায়ের পরের দিন ৪ ফেব্র“য়ারী ২০১৩ তারিখে দৌলতপুর থেকে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করে।  দীর্ঘ শুনানী শেষে ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালত তাকে বেকশুর খালাস দেয়। মামলা থেকে বেকশুর খালাস পাওয়ার পরও শুধুমাত্র আইনী জটিলতার কারে কারাগার থেকে মুক্তি মিলছে না ভারতীয় এ নাগরিকের। এ ব্যপারে কুষ্টিয়া জেলসুপার মকলেচুর রহমান বলেন, আই জি প্রিজোনে’র মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে বিষয়টি অবগত করার জন্য চলতি বছরের ২১ ও ২৫ এপ্রিল অফিসিয়াল ভাবে জানানো হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিশেষ এই দিবসে মানবাধিকার সম্পর্কে সাধারন মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সরকারী ও বেসরকারী ভাবে আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের। হাতগুটিয়ে বসে ছিলেন না গণমাধ্যমের কর্মিরাও। বিভিন্ন চ্যানেলে মানবাধিকার নিয়ে চলে একের পর “টক শো” আলোচনা। মানবাধিকার নিয়ে সমগ্র বিশ্ব যেখানে জাগ্রত হয়ে উঠেছে সেখানে বেকশুর খালাস পাওয়ার পরও মুক্তি মিলছে না আব্দুল আনছাড়ি নামের এই ভারতীয় নাগরিকের। সুশীল সমাজের প্রশ্ন এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন না ? না কি তার জন্য মানবাধকার শব্দটি যাথাযথ না ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন