বুধবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৩

মেহেরপুরে ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র আতিউর

 মেহেরপুর সংবাদদাতা : মেহেপুরের শুভরাজপুর গ্রামের আফ্রিকা প্রবাসী আলী হোসেনের পরিবারের কাছে দীর্ঘদীন যাবৎ ৫ লক্ষটাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল সন্ত্রাসীরা। চাঁদার টাকা না পেয়ে ১০/১২ জনের একটি চক্র গত মঙ্গলবার রাত ২ টারদিকে শিশু আতিউর (১০) কে অপহরন করে। এসময় আতিউরের নানা স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্দুল হালিম সহ গ্রাম বাসি বাধা প্রদান করলে দূর্বৃত্তরা পরপর ৩ টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরন ঘটায়। বোমা আঘাতে স্কুল শিক্ষক আব্দুল হালিম(৫০)ঘটনা স্থলেই নিহত হয়। । এদিকে স্কুল শিক্ষক আব্দুল হালিম নিহত ও শিশু আতিউর রহমানের অপরহনের ঘটনায় নিহতের পরিবারে বইছে শোকের মাতম। আর এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে আতংক আর আতংক। অপহরনের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র আতিউর আজো উদ্ধার হয়নি। কেউ জানেনা তার ভাগ্যে কি ঘটেছে। সে কি জীবিত না মৃত। শিশু আতিউর কে হারিয়ে তার মা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।মেহেরপুর সদর থানার ওসি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম জানান,অপহরনকৃত শিশু আতিউর রহমান কে উদ্ধার ও অপহরনকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নী। উলে¬¬খ্য ঃ এর আগেও ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ ডাকাতদল বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের মুক্তিপনের দাবিতে শুভরাজপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হান, সাত্তারের ছেলে সুজন, ওয়াজেদের ছেলে পন্জতুল¬াহ, মওলাবক্স-এর ছেলে মতিন, আসাদের ছেলে সাবদার আলি ও সফিউল মাষ্টারের ছেলে জহন আলিকে অপহরন করে ভারতের নদীয়া জেলার করিমপুর থানার কাঠালিয়া গ্রামে নিয়ে যায়।মোটা অংকের টাকা মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেয়। এসব ঘটনায় সীমান্তবর্তী শুভরাজপুর গ্রামবাসী অপহরন আতংকে দিনযাপন করলেও নিয়মিত বিজিবি ও পুলিশী টহল হয়না বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছে। প্রশাসনের এ অপারগতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে অপহরন কারীরা তা হলে কি ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে একের পর এক শিশু অপহরন করে পার পেয়ে যাবে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন