মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৩

ভেড়ামারায় কম্পিউটার শিক্ষক প্রিন্সের অনৈতিক সর্ম্পকের কারনে সাময়িক বরখান্ত

হাওয়া ডেস্ক : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক (সহকারী শিক্ষক ইনডেক্র নং-১৮৬১৮) মিজানুর রহমান প্রিন্সের অনৈতিক সর্ম্পকের কারনে সাময়িক বরখান্ত হয়েছে। অভিভাবক এলাকাবাসী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দরা সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছে। মিজানুর রহমান প্রিন্স সাময়িক বরখান্ত হওযায় এলাকায় মিষ্টি বিতরন করেন।জানা যায়, উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রিন্স তার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। একাধিক ছাত্রীর সাথে সে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। ছাত্রীরা লজ্ঞায় মুখ খুলতে সাহস পায়না। কুরুচি পূর্ণ প্রশ্নের মুখে ভূক্তভূগী কোন ছাত্রী আর মুখ খুলতে চায় না বিচারকদের কাছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার অপকর্মের চিত্র ধারণ করে পোষ্টার সম্বলিত কম্পিউটার শিক্ষক প্রিন্স এর আপত্তিকর ছবি সহ পোষ্টার আকারে এলাকায় দেওয়ালে দেওয়ালে প্রদর্শিত হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল পরিচালনা পর্ষদ মিজানুর রহমান প্রিন্স ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক সর্ম্পকের কারনে তাকে সাময়িক বরখান্ত করেন। কম্পিউটার শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রিন্স প্রভাবশালী হওয়ায় সে স্কুল কমিটি কে ম্যানেজ করে চাকুরীতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে।সাতবাড়িয়া ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনোত কুমার বিশ্বাস জানান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভায় কম্পিউটার শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রিন্স কে সাময়িক বরখান্ত করেছে। আগামীতে কমিটি যা করবে তাই হবে।সাতবাড়িয়া ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান শাহাবুল আলম লালু জানান, কম্পিউটার শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রিন্সের অনৈতিক কাজের কারনে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলছে।
ভেড়ামারা উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার জানান, সাতবাড়িয়া ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রিন্স কে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে শুনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত ভাবে স্কুল কতৃপক্ষ আমাকে অবগত করেনী।উল্লেখ্য, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া-ভবাণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক (সহকারী শিক্ষক যার ইনডেক্স নং-১৮৬১৮) মিজানুর রহমান প্রিন্স এর নিকট দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে আসা ছাত্রীরা সম্ভ্রম হারাচ্ছে। সে ২০০৭ সালে কম্পিউটার শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রিন্স স্কুল চত্ত্বরে কম্পিউটার রুমে ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে নাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনাটি একাধিক পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন ওজু হাতে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়। সম্প্রতি আবারও ওই শিক্ষকের নামে একই রকম অভিযোগ এসেছে। এই অভিযোগের বিচার আমাদের সমাজ ব্যবস্থার বিচারকগণের কাছে করতে গেলে তাদের কুরুচি পূর্ণ প্রশ্নের মুখে ভূক্তভূগী হয়ে কোন ছাত্রী আর মুখ খুলতে চায় না। আর তারই সুযোগ নিয়ে এই নিলজ্য ব্যক্তি তার কাছে কম্পিউটারের শিক্ষা নিতে আসা ছাত্রীরা সম্ভ্রম হারাচ্ছে। কম্পিউটার শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রিন্স এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও ছাত্র/ছাত্রীরা পোষ্টারসহ মানববন্ধন করেছে। এই ঘটনায় যে কোন মুহুর্তে এলাকায় সংর্ঘষে রূপ নিতে পারে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার অপকর্মের চিত্র ধারণ করে পোষ্টার সম্বলিত কম্পিউটার শিক্ষক প্রিন্স এর আপত্তিকর ছবি সহ পোষ্টার আকারে এলাকায় দেওয়ালে দেওয়ালে প্রদর্শিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এমনকি প্রাথমিক পর্যায়েও কম্পিউটার শিক্ষার সুযোগ করে নিয়েছে। কিন্তু এখানে শিক্ষক নামের এই সকল নরপশুদের কাছে বলি হচ্ছে না জানি এই এলাকার কত ছাত্রী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন