সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৩

ওলামায়ে কেরামকে অন্ধকারে রেখে কওমী মাদরাসার ব্যপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত কোন শুভফল বয়ে আনবেনা : ইশা ছাত্র আন্দোলন

ঢাকা অফিস : ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মু. আরিফুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল কে এম আনিসুজ্জামান আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকার কওমী শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষে দেশের ওলামায়ে কেরামকে অন্ধকারে রেখে “বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৩” নামে যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, এর দ্বারা কওমী শিক্ষার জন্য কোন শুভফল বয়ে আনবে বলে মনে হচ্ছেনা। এ খসড়া আইনের বিভিন্ন ধারাগুলো ব্যাপক পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ আইন কার্যকর হলে হাজার বছরের ঐতিহ্য সম্বলিত কওমী শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নতো হবেইনা; বরং এ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পতিত হবে।নেতৃদ্বয় নতুন এ খসড়া আইনের কয়েকটি ধারার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ আইনের ১০ নং ধারায় আছে, মাদরাসা পরিচালনার কর্তৃপক্ষ কমিটি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সেই সিদ্ধান্ত যদি জাতীয় শিক্ষানীতির পরিপন্থী হয় তাহলে তা বাতিল করার জন্য সরকার নির্দেশ প্রদান করতে পারবে। অথচ জাতীয় শিক্ষনীতি একটি ধর্মহীন শিক্ষানীতি। যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিকে উপেক্ষা করে তৈরি করা হয়েছে। এ খসড়া আইনে আরও রয়েছে যে, মাদরাসা কমিটির যে চেয়ারম্যান থাকবে, সরকার ইচ্ছা করলেই যে কোন কারণ ছাড়াই তাকে অব্যহতি দিতে পারবে। অথচ এ নিয়ম সরকারের অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা কার্যালয়ে নেই। নেতৃদ্বয় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, কওমী শিক্ষার সরকারী স্বীকৃতি কওমী শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি। কিন্তু এ দাবি পূরণ করতে হবে তাদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে। তাই কওমী শিক্ষার স্বীকৃতি বা কওমী মাদরাসার জন্য কোন আইন করতে হলে দেশের সকল কওমী শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, সচেতন ওলামায়ে কেরামদের সাথে পরামর্শ করে তাদের সমন্বয়ে করতে হবে। আর যদি কওমী শিক্ষার উন্নয়নের নামে তা ধ্বংস করার কোন ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কওমী শিক্ষার হাজার বছরের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য এ দেশের লক্ষ লক্ষ মাদরাসা শিক্ষার্থী ও তাওহীদি জনতা রাজপথে নেমে আসবে এবং সরকারকে এর জন্য চরম মাশুল দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন