বুধবার, অক্টোবর ০৯, ২০১৩

জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভা

কুষ্টিয়াকে মাদকমুক্ত ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে


সৈয়দ বেলাল হোসেন


স্টাফ রিপোর্টার :
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন,ধর্ম যার
যার কিন্তু উৎসব সবার। তাই আসন্ন কোরবানীর ঈদ এবং দূর্গা পূজা উপলক্ষে সম্প্রীতি বজায় রেখে উৎসব পালন করবেন। যেন কোন ভাবেই উৎসব পালন করতে যেয়ে কোন ধর্মেরই সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখার দায়িত্ব আমার আপনার সবার। ঈদ-পূজা উৎসব পালনে সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এই দুই উৎসবকে ঘিরে জেলায় কোন প্রকার অশান্তি-বিশৃংখলা, চাঁদাবাজী ও আইনশৃংখলার অবনতি মেনে নেয়া হবে না। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য প্রদান করবেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের জনগণের জান মাল রক্ষায় যে কোন নাশকতা ও অপশক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এদেশ আমার আপনার সবার। জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনা যতই নির্মম হোক না কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্ত্রাসী, চরমপন্থী সহ সকল অপরাধী সে যে দলের কিংবা যতই শক্তিশালি হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এবং হবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে। তিনি আরো বলেন, যে কোন মুল্যে জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ এবং দমন করা হবে। কুষ্টিয়াকে সম্পূর্ন মাদকমুক্ত ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনপ্রতিনিধি সহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রাস্তায় গরু বহনে কোন প্রকার চাঁদাবাজীসহ অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব-বিজিবি ও হাইয়ে পুলিশ বিশেষ টহলের ব্যবস্থা নিবেন। পশুহাটগুলোতেও নিরাপত্তা জোর দার করা হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা নির্বিগ্নে বেচা-কেনা করে ঘরে ফিরতে পারে। তিনি বলেন, জেলার আইনশৃংখলার উন্নতি ও জেলার সার্বিক উন্নয়নে কতিপয় সমাজের খারাপ মানুসিকতার লোক ইর্শাম্বিত হয়ে জেলা প্রশাসন সহ উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে নানান ধরনের অপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এদের উদ্দেশ্য কোন ভাবেই সফল করতে দেয়া হবে না। যে কোন মূল্যে জেলা আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আপনরাদের সাথে নিয়ে জেলার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। বিগত মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মখলেছুর রহমান। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম জামাল আহমেদ, নবী নেওয়াজ ও মোহাম্মদ রাসেল মিয়া ও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনার কলি মাহবুব, নবনিযুক্ত কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মুজিব-উল-ফেরদৌস, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীমুন রাজিব, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কুমার মন্ডল, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান, কুমারখালীর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ-উজ-জামান, ভেড়ামারা উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান আলী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আব্দুল বারী জোয়াদ্দার, ৩২বিজিবি প্রতিনিধি মেজর তারেক মাহমুদ, র‌্যাব প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহমেদ, কুষ্টিয়ার জেল সুপার নুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ’র সহ-সভাপতি এসএম কাদেরী শাকিল, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক নেতা আব্দুল মান্নান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান, সাংবাদিক শামসুল আলম স্বপন, নূর আলম দুলাল, তৌহিদী হাসান শিপলু, রাইফেলস ক্লাবের মনসুর চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন লাবলু, জেলা বিএফএ’র নেতা আব্দুল লতিফ, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আইউব আলী মিয়া, সমাজ সেবার উপ-পরিচালক আব্দুল গনি, এনএসআই’র সহকারী পরিচালক ছানোয়ার হোসেন, আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ডার ফেরদৌস আহমেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা বেগম, প্রবেশন কর্মকর্তা সুশান্ত পাল প্র্রমুখ। সভায় কমিটির সদস্যরা জেলার আইনশৃংখলার উন্নতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঈদ-পূজা উৎসব পালনে সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই দুই উৎসবকে ঘিরে জেলায় কোন প্রকার অশান্তি-বিশৃংখলা মেনে নেয়া হবে না। ঈদ-পূজার উৎসবে আনন্দ করতে যেয়ে শহরের মোড়ে মোড়ে উচ্চসুরে ড্রাম বাজিয়ে গান-বাজনা করে কোন প্রকার জনবিরক্তি সৃষ্টি করা যাবে না।










কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন