সোমবার, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪

বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী’র প্রতিষ্ঠাতা ওস্তাদ ভাই স্মরণে র‌্যালী ও লাঠিখেলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্যের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর কেন্দীয় সংঠন কুষ্টিয়ার উদ্যেগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও নানা সমস্যা সংকট মোকাবিলা করে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিরাজুল হক চৌধুরী ওস্তাদ ভাই ও সাধারণ সম্পাদক রতন চৌধুরী স্মরণে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও লাঠি খেলা উৎসব পালন করেছে সংঘঠনটি। শনিবার দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। সকালে সংগঠনের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিরাজুল হক চৌধুরী ওস্তাদ ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক রতন চৌধুরী’র সমাধীতে পুস্পমাল্য অর্পন ও মরহুমদ্বয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে সারা দেশ থেকে আগত লাঠিয়াল বাহিনীর অংশগ্রহণে লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয় যা প্রায় সহ¯্রাধিক দর্শক উপভোগ করেন এবং বিলুপ্ত প্রায় এই খেলা দেখে মুগ্ধ হন।  একসময়ের প্রাকৃতিক প্রতিকুল পরিবেশে মানুষের আত্মরক্ষার রণকৌশল ঐতিহ্যবাহী এ লাঠি খেলা কালের আবর্তনে উপভোগ্য ও উৎসব মুখর খেলায় পরিনত হয়েছে আজ। এই ঐতিহ্যকে ধরে রেখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ঠাঁই করতে এই খেলার গুরুজন ওস্তাদ ভাই সিরাজুল হক চৌধুরী ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী। সেই থেকে নানা সমস্যা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রতি বছর সারা দেশ থেকে জড়ো করা লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপিত হয় এই লাঠি খেলা উৎসব। ঐতিহ্যবাহী এই খেলা উপভোগ করে দর্শকরাও মুগ্ধ হয়ে ফেরেন সাময়িক সময়ের এই বিনোদন থেকে তেমনি অভিমত তাদের। তবে এই খেলায় অংশ নিতে আসা লাঠিয়াল সদস্যরা জানালেন তাদের নানান কষ্টের কথা। তারাও চাই দেশের অন্যান্য খেলার মত এই খেলাটিকেও যাতে সু-নজরে দেখে একটু পৃষ্টপোষকতার হাত বাড়িয়ে দেয় সরকার। বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনা সুলতানা দ্বিজু বলেন, আমাদের লাঠিয়াল সদস্যরা ইতোমধ্যে সাবগেমসসহ জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ
নিয়ে সফলতার সাথে দর্শক মন জয়ের স্মাক্ষর রেখেছে। অথচ এই খেলাটিকে ধরে রেখে আজকের প্রজন্মের কাছে আরও বেশী উপভোগ্য করে তোলার জন্য চাই ক্রিড়া সংশ্লিষ্ট মহলের সু-দৃষ্টি। তিনি আরও বলেন,  আমরা চাই ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট মহলের সদয় পৃষ্টপোষকতা থাক। তাহলে হয়ত এই খেলাকে আরও বেশী বিকশিত ও সমৃদ্ধ করা হলে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনেও এর সমাদর প্রতিষ্ঠা পাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন