সোমবার, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪

বালিয়াকান্দির ১৭টি বিলে এখনও মিলছে প্রচুর দেশী মাছ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর  বালিয়াকান্দি উপজেলার ১৭টি বিলে এখনও প্রচুর পরিমানে মিলছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। সংরক্ষনের উদ্দ্যোগ গ্রহন না করলে দিনদিন হারিয়ে যাবে সুস্বাদু দেশি জাতের মাছ।  বালিয়াকান্দি উপজেলা মৎস্য দপ্তর সুত্রেজানাগেছে, উপজেলার ১৭টি বিল রয়েছে। বিলগুলো হলো, বিলপাকুরিয়া বিল, চেচুয়ার বিল, বারুগ্রাম বিল, হইকোল বিল, ঘোড়াদাহ বিল, গোয়ালডাঙ্গী বিল, যশাইবিল, গোদারগাড়া বিল, হাতিমোহন বিল, বাকসীডাঙ্গি বিল, কামাই বিল, মনাই বিল, বাঘুটিয়া বিল, পুটিয়া বিল, নেহেরের বিল, তেঢালা বিল, পাটুরিয়া বিল। এছাড়াও অনেক ছোট-ছোট বিল রয়েছে। এসব বিলে বর্ষা মৌসুমে ৩-৪মাস পর্যন্ত পানি থাকে। বিলগুলোতে এখনও প্রচুর পরিমানে দেশিয় প্রজাতির বোয়াল, শিং, কৈ, টাকি, শৈাল, টেংরা, মাগুর, গজার, সরপুটি, খলিসা, ফলি, বাইলা, চিংড়ি, চিতল, কাতল, গোলসা, চাপলা, ভেটকি, টেপাসহ প্রভৃতি রকমের সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু বিলগুলোতে আবাদী জমিতে পরিনত হওয়ায় ও খালগুলো সংস্কার না হওয়ায় পানি শুকিয়ে যায়। ফলে মাছের অভয়াশ্রম তৈরী হচ্ছে না। সরকারী ভাবে মাছের অভয়াশ্রম তৈরী ও আবাস তৈরীর উদ্দ্যোগ গ্রহন করলে দেশি মাছ আর বিলুপ্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সরকার সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কিছু খাল খননের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে। অনেক খাল ইতিমধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে।   উপজেলা সহাকারী মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল
হক জানান, বিল সংলগ্ন এলাকার খালগুলো সংস্কার করলে দীর্ঘ সময় পানি থাকবে। ফলে দেশি মাছের অভয়াশ্রমে পরিনত হবে। এতে দেশি মাছ সারা বছর পাওয়া যাবে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম জানান, আমরা বিলগুলোতে দেশি প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারের জন্য কারেন্টজালসহ মাছ ধরার বিষয়ে জেলেদের পরামর্শ ও সতর্ক করে দিয়ে আসছি। ফলে দেশি মাছ বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন