আব্দুম মুনিব : সহকারী পরিচালক আজিজুন্নাহারের
যথার্থ পদক্ষেপে বহুদিন পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উন্নত পরিবেশ ফিরে এলে ও দালালদের
ব্যাপক দৌরাত্বে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে হাসপাতালে আসা শত শত সাধারণ রোগী। স্থানীয় কিছু ডায়গনষ্টিক সেন্টার, ফার্মেসী ও বিভিন্ন ডাক্তারের ব্যাক্তিগত চেম্বারের দালালরা
হাসপাতার দিনের বেলায় হাসপাতাল চষে বেড়ায়, বিকালের পর
থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ হওয়ার পর এসব দালালদের বিচরণ বেড়ে যায়। এসময় হাসপতাল সংলগ্ন ডায়গনষ্টিক সেন্টারের দালালরা রোগীদের নিয়ে রীতিমত টানা হেচরা
শুরু করে।
জেলা স্বাস'্য সেবা কমিটির চেয়ারম্যান তথ্য মনী্ত্র হাসানুল ইনু,
জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জন
তরুন কানি- হালদার, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক
আজিজুন্নাহারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে এক সভায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল দালাল মুক্ত করার মন্ত্রী
নির্দেশ দিলেও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
জানাগেছে,
স'ানীয় ডায়গনষ্টিক সেন্টার, ফার্মেসীর চিহৃত কিছু দালাল ও হাসপতালের
সেচ্ছাসেবক (মহিলা/পুরুষ) এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এসব দালাল রা হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে শুরু করে আউটডোর, প্যাথলজি, ডাক্তারদের চেম্বার
এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে সাধারণ রোগীদের বিভিন্ন ভাবে ভুলিয়ে ভালিয়ে
রোগীদের নিজস্ব ডায়গনষ্টি ও ফার্মেসীতে নিয়ে যায় এবং ইচ্ছামত টাকা পয়সা নেয়।
বিশেষ করে হাসপতালে
ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে থাকা কিছু বিনা বেতনের কর্মচারীরা দালালদের প্রধান সহায়ক
হিসেবে কাজ করে। তারা চেম্বারের দরজার সামনে দাড়িয়ে থেকে রোগী
বের হওয়া মাত্র তাদের হাত থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা ও ওষুধের প্রেসক্রিসন নিয়ে দালালদের
হাতে দিয়ে দেয় কিছু বুঝে উঠার আগেই বিনা বেতনের কর্মচারীরা রোগীদের বলে কম মূল্যে কাজ
হয়ে যাবে। রোগীরা হাসপাতালের লোক মনে করে দালালদের খপ্পরে পরে এবং প্রতারণার
শিকার হয়।
সরেজমিনে গতকাল
সকাল ১১ টায় হাসপতালে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের চত্বরের বিভিন্ন স'নে বেশ কিছু চিহিৃত দালাল ঘোরাফিরা করছে। এসময় আউটডোরের পাশে খোকসার শিমুলিয়ার একজন বয়স্ক জানান, তার হাতে থাকা একটি স্লিপ দেখে এক দালাল টান দিয়ে নিয়ে যায়। এভাবেই দালাল চক্রের কাছে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া
জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আজিজুন্নাহার হাসপতালে দালালদের বিচরনের কথা স্বীকার করে জানান, আমি হাসপতালের সকল স্টাফদের পরিচয় পত্র ঝুলিয়ে দালাল চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের কঠোর পদক্ষেপে কুষ্টিয়া পাসপোর্ট
অফিসে প্রায়ই দালাল মুক্ত করেছে। ভুক্তভোগী
মহল মনে করেন কুষ্টিয়ার সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের জরুরী হস-ক্ষেপে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল
দালাল মুক্ত হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন