আব্দুম মুনিব : কুষ্টিয়ায় ১৩ বছরের
এক মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হওয়ার ৩ দিন পার হলেও
পুলিশ এখন পর্যন- কাউকে আটক করতে পারেনি। এদিকে ঘটনার পর থেকে
ধর্ষক পরিবারসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের পক্ষ থেকে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ
করেছে ধর্ষিতার পরিবার। এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটছে
ধর্ষিতার পরিবারের। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর অবস্তার উন্নতি হলেও সে মানুষিক ভাবে ভেংগে পড়ছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএম ও তাপস কুমার জানান, ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে চিকিৎসকরা
তাকে পর্যবেক্ষন করছে। তার অবস্তা উন্নতির দিকে। মেডিক্যাল রিপোর্ট
না পাওয়া পর্যন- কিছু বলা যাবে না বলে তিনি জানান। এদিকে গতকাল সকাল ১১ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি মাদ্রাসা
ছাত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ। কথা শেষে গাইনি ওয়ার্ডের বাইরে সাংবাদিক দের তিনি জানান, আসামীদের ধরার ব্যপারে সর্বাত্তম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গতকাল হাসপতালে ধর্ষিতার ভাই হাছেন আলী কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিদেককে জানান,
আসামীরা বিভিন্ন ভাবে তাদের এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদোষীদের হুমকী
প্রদান করছে। একই সময় ধর্ষিতার ভাবী লাকি খাতুন এ ঘটনার
দৃষ্টান- মূলক শাসি- দাবী করেন। আলামপুড় পুলিশ ক্যাম্পের
আইসি এসআই জাহাংগীর আলম জানান, আসামীদের ধরতে এলাকায়
অভিযান চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রবিউল
ইসলাম জানান, আসামীদের ধরতে আমাদের তিনটি গ্রুপ কাজ করে
যাচ্ছে। উপর মহলে কোন আপোষের চেষ্টা চলছে কি না জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়টি
তার জানা নেই বলে জানান। গত ৮ জানুয়ারি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের ভাদালিয়া
এক মাদ্রাসা ছাত্রী পাশ্ববর্তি তার নানা বাড়ী থেকে দুই শিশু সহযোগী সেলিম ও রানাকে
সাথে নিয়ে বিকেলে বাড়ী ফেরার পথে এলাকার হলবিলের মাঠ নামক স্থানে একই এলাকার সন্ত্রাসী বখাটে পলাশ (২২),
নয়ন (২৫) ও আজগর (২২) তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে থাকা সেলিম ও রানাকে মারপিট করে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসা ছাত্রীকে হলবিলের মাঠে নিয়ে ৩ ঘন্টা আটকে রেখে গণধর্ষণ
চালায়। দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়।
১০ জানুয়ারী
রাতে গুরুতর অসুস্ত হলে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ধর্ষিতার ভাই হাসেন আলী বাদি হয়ে পলাশ, নয়ন ও আজগর কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য গত ২ বছর আগে পাশ্ববর্তি উজাগ্রাম ইউনিয়নে আরজিনা নামক উজাগ্রাম আলিম
মাদ্রাসার ছাত্রীকে গনধর্ষন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন