রবিবার, জানুয়ারী ২০, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় বেসরকারী শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ষ্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের কো-অডিনেটর ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় সভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চাকুরী জাতীয় করণের দাবীতে আগামী ২৩ জানুয়ারী ঢাকায় শিক্ষক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেনা শিক্ষকরা । দেশের শতকরা ৭৮ ভাগ ছাত্র-ছাত্রীর দায় দায়িত্ব বেসরকারী শিক্ষকদের কাঁধে। তাই তাদের নায্য দাবী উপেক্ষা করে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম
চলতে পারে না। তিনি বলেন, শিক্ষকদের কাছে সব ছাত্র-ছাত্রী সমান। তাই একই ভাবে সরকারকেও সব শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে বৈষম্য দূর করতে হবে। শনিবার সকালে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট কুষ্টিয়া জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড.মহিউদ্দিন খান আলমগীর কে “ভাইরাস” এর সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, নন এম পিও ভূক্ত শিক্ষকদের উপর পিপার স্প্রে করার ফলে এক শিক্ষকের মৃত্যু ও অপর দুই শিক্ষক বর্তমানে অন্ধত্বের পথে। জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষকদের উপর অমানবিক আচরনের নির্দেশদাতা এই “ভাইরাস” এর কারনে সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ রেজাউল হক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুজ্জামান, যুগ্ন সম্পাদক মোঃ জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী এনামুল হক আসাদ, ফৌজিয়া এমদাদ, কলেজ শিক্ষক সমিতির কুমারখালী সভাপতি অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির খোকসা সম্পাদক আইনুদ্দিন, দৌলতপুর সম্পাদক ফরহাত হোসেন, ভেড়ামারা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কুমারখালী আবুল কাসেম, সলেমান হোসেন, কুষ্টিয়া সদর আব্দুল আজিজ, কলেজ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শাহীনুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশের পূর্বে কুষ্টিয়া শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা হতে বেসরকারী স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার সহস্রাধিক শিক্ষক চাদ সুলতানা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে সমাবেশ হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন