স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরী নিয়োগ নিয়ে চলছে কর্তৃপক্ষের নিয়োগ বাণিজ্য। নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে এরই মধ্যে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনপত্র জমাদান শেষে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। জেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ১০-এর অধিক আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা যায়। এদিকে চূড়ান্ত পরীক্ষার আগেই প্রার্থী প্রতি ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়োগ বাণিজ্যের দর কষাকষি চলছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। সুত্র জানায়, জেলার কিছু বিদ্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল-জালিয়াতি করে কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে দফতরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ দেয়ার মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে। সুত্র আরো জানায়, জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরী পদে জনবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই পদে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ এবং অর্থের বিনিময়ে প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেক স্থানে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে নিয়োগ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মনোনীত একজন সদস্য ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি প্রতিটি স্কুলে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই নিয়োগের অনুমোদন করবেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সভাপতি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা চাপের মুখে নিয়োগ প্রদান করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি আরো জানান, এসব নিয়োগে শিক্ষা অফিসের কতিপয় কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন