শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় বেতের তৈরী আসবাব পত্রের কদর বেড়েছে


ষ্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ায় বেতের তৈরী আসবাব পত্রের কদর বেড়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ ও সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে বড় ধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার সম্ভবনা রয়েছে। কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ার কেনি রোড¯’ সিডি ফার্ণিচারে যেয়ে এমনটিই জানা গেছে। সরজমিনে দেখা গেছে এখানে বেত দিয়ে তৈরী করা হ”েছ ছোফা সেট, খাট, মোড়া, দোলনা, ড্রেসিং টেবিল, ইজি চেয়ার, রকিং চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান মুছা। তিনি তার দুই সহযোগী মিলন ও ইছাককে নিয়ে কাজ করেন। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি রাজশাহী থেকে বেত শিল্পের উপর প্রশিণ নিয়ে এসেছেন। কুষ্টিয়ায় এখন নিজেই গড়ে তুলেছেন বেত শিল্পের একটি প্রতিষ্ঠান। সম্পুর্ণ বেত দিয়ে তৈরী এ আসবাব পত্রের দিন দিন কদর বৃদ্ধি পা”েছ বলেও তিনি জানান। মূলত বেত গুলি আসে বার্মা থেকে। বেত শিল্পী মুছা এ বেত সংগ্রহ করে থাকেন ঢাকা থেকে। তিনি জানান, সম্পুর্ণ হাতের কারুকাজ দ্বারা বেত দিয়ে আসবাব পত্র তৈরী করে থাকেন। চিকন, মাঝারী ও মোটা বিভিন্ন সাইজের বেত দিয়ে এগুলি তৈরী করা হয়। তবে বার বার আগুনের তাপ দিয়ে বেত গুলি বাঁকা করতে হয়। বেত দিয়ে তৈরী করতে ব্যবহার করা হয় বেতেরই চটালী। আর অন্য কিছু বলতে রয়েছে পেরেক বা রেথেকাঁটা। রেডিমেট এবং অর্ডারী নিয়ে এসব আসবাবপত্র তৈরী করা হয়। তৈরীকৃত আসবাব পত্র বিভিন্ন দামে বিক্রি করে থাকেন। ছোফাসেট ৮হাজার ৫শ টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা, খাট ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা, মোড়া ১০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, দোলনা ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা, ড্রেসিং টেবিল ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা এবং চেয়ার ২ হাজার টাকা করে বিক্রি করে থাকেন বলে জানান। কর্মদতা ও হাতের নিপুন কারুকাজে বেতের তৈরি আসবাব পত্র যে কোন মানুষের নজর কাড়ে। তবে এর দায়ীত্ব নিয়ে সাধারনের নানা প্রশ্ন রয়েছে। উৎপাদক মুছা জানান, একটি কাঠের তৈরি আসবাব পত্রের চেয়ে এর স্থায়ীত্ব বেশি হবে। তিনি রপ্তানী মানের আসবাবপত্রও তৈরি করতে পারেন। একই বেতের তৈরি সামগ্রী হলেও এর মধ্যে অনেক কারুকাজ আছে রয়েছে নানা ধরনের স্থায়ীত্ব কৌশল। মুছা বলেন, একই আসবাব পত্রের স্থায়ীত্বকাল ১০ বছর আবার ওই আসবাব পত্রের স্থায়ীত্বকাল ২০ বছর করা যায় তবে দামের পার্থক্য এবং আর্থিক অসঙ্গতীর কারনে ওই মানের সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হয় না। তবে সরকারীভাবে আর্থিক সহযোগীতা পেলে বড় ধরণের কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন। এজন্য তিনি সরকারের পৃষ্টপোষকতা কামনা করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন