শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ০১, ২০১৩

পথে পথে বিপুল সংবর্ধনা ফুলে ফুলে সিক্ত

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ ৬ নেতার কারামূক্তি


আব্দুম মুনিব : কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ ৬ নেতার কারামূক্তি হয়েছে। গতকাল সন্ধায় যশোর কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন এবং কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহুর রহমান
পিন্টু, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামাল উদ্দিন কারা মুক্তি হয়।  গতকাল সন্ধায় যশোর কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন কারামুক্তি হলে সেখানে তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরন করেন যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রিয় মহিলাদলের অন্যতম সদস্য ও জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সৈয়দা ফাহিমা রুমী, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, এ্যাড. গোলাম মহম্মদ, শহিদুল হক, যুগ্ন সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, এম এ শামীম আরজু, মাহমুদুর রহমান আল কাদেরী, এসএম ওমর ফারুক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গাজী গোলজার হোসেন গোলো, যোগাযোগ সম্পাদক হাজী রবিউল আওয়াল, সদর থানা যুবদলের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম বিপ্লব, যশোর জেলা যুবদলের নেতা শাহীন প্রমুখ।
এদিকে গতকাল সন্ধায় যশোর কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে কুষ্টিয়া ফেরার পথে শেখ পাড়া বাজারে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল, লক্ষীপুর বাজার, মধুপুর বাজার, বৃত্তিপাড়া বাজার, ভাদালিয়া বাজারসহ পথে পথে ২ নেতাকে বিপুল সংবর্ধনা দেওয়া হয় এসময় ফুলে ফুলে সিক্ত হয় তারা। চৌড়হাস থেকে জেলা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা ও গাড়ী বহর নিয়ে অব্যর্থনা দিয়ে কুষ্টিয়া শহরে প্রবেশ করে। এরপর জেলা বিএনািপর কার্যালয় চত্বরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহুর রহমান পিন্টু, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামাল উদ্দিন কে বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, যুগ্ন সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, এমএ শামীম আরজু, বিশেষ সম্পাদক একে বিশ্বাস বাবু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, খোকসা থানা বিএনপির পক্ষ থেকে থানা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলী, সধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আনিসুজ্জামান স্বপন, পৌর বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খান, কুমারখালী বিএনপির পক্ষ থেকে থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড.আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.কুতুবুল আলম নতুন, যুগ্ন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, পৌর বিএনপির সভাপতি কেএমআলম টমে, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সদরথানা বিএনপির পক্ষ থেকে থানা বিএনপির এ্যাড আব্দুল মজিদ, যুগ্ন সম্পাদক এ্যাড খাদেমুল ইসলাম, শহর বিএনপি পক্ষ থেকে শহর বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক মিজানুর রহমান মানু,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী রবিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রমিকদলের পক্ষ থেকে সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক কেএইচ সরোয়ার হোসেন, সেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে জেলা আহবায়ক এ্যাড. শামীম উল হাসান অপু, কৃষকদলের পক্ষ থেকে জেলা আহবায়ক এসএম গোলাম কবির শহর কৃষক দলের আহবায়ক বাবলা আমিন চৌধুরী, মহিলাদল এর পক্ষ থেকে মহিলাদল নেত্রী কুমকুম রহমান. নিলুফা আকতার নাসরিন, শিরিন রতন, সীমা আক্তার, এ্যাড.আকলিমা, জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল হাকিম মাসুদ, যুগ্ন সম্পাদক আরিফুর রহমান সুমন, সদর থানা যুবদলের প্ক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ, কুমারখালী থানা যুবদলের পক্ষ থেকে সভাপতি আল কামাল মোস্তফা, সধারণ সম্পাদক রিপন, শহর যুবদলের পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক মন্জুরুল হাসান কুটি, যুগ্ন সম্পাদক ফয়সাল হাসান খালিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, শহর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সভাপতি মাহাফুজুর রহমান মিথুন, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুর হাসান রিংকু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাসান মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ম্যাক, সরকারী কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান বাপ্পী, সদর থানা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আহবায়ক আব্দুল আউয়াল বাদশা, যুগ্ন আহবায় আবু হেনা মোস্তফা আরিফ, কুমারখালী সেচ্ছাসেবকদল এ পক্ষ থেকে ডাঃ শরিফুল ইসলাম, সেলিম রেজাসহ বিভিন্ন অংঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে মেহেদী রুমী, সোহরাব উদ্দিককে ফুলেল শূভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় তারা নেতা কর্মিদের উদ্যেশে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপি-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মডেল থানায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিনসহ ১৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাধাদান করার একটি মামলা করে মডেল থানার এসআই ওবাইদুর রহমান। উক্ত মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের ২৪ নং বেঞ্চ থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ নেতার জামিন লাভ করেন। হাইকোটের অন্তবর্তিকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে গত ২১ জানুয়ারী কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজিরা দিতে গেলে ম্যাজিষ্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করে। এরপর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন কে যশোর কারাগারে প্রেরণ করে।
গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ বিএনপির ৬ নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করে। হাইকোর্ট ডিভিশনের ২৪ নং বেঞ্চে ব্যারিষ্টার রফিকুল হক মিঞা ও ব্যারিষ্টার রাগিব রউফ চৌধুরী বিএনপির নেতাকর্মীর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক এনায়েতুর রহিম ও আকরাম হোসেন চৌধুরীর বেঞ্চ বিএনপির ৬ নেতাকর্মীর ৬ মাসের অন্তর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। সেই সাথে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না এই মর্মে একটি রুল জারি করেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন