সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় চালের বাজার অস্থির


আব্দুম মুনিব : কুষ্টিয়ায় চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। প্রকারভেদে বিভিন্ন চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা। চালের মূল্য বৃদ্ধিতে খুচরা ব্যবসায়ীরা চালকল মালিকদের সিন্ডিকেট ও গুদামজাত করে কৃত্তিম সংকট কে দায়ী করছে। তবে শৈত্য প্রবাহ ও বৈরী আবহাওয়ায় চাল উৎপাদন করতে না পারায় উৎপাদন সংকটের কারণে চালের বাজার হঠাৎ বেড়েছে বলে দাবী মিল-চাতাল মালিকদের। এদিকে দফায় দফায় দ্রবমূল্য বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে চালের দাম এক ডিগবাজীতে ৫ থেকে ৮ টাকা বাড়ায় মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষদের নাভিশ্বাস উঠেছে। স্বর্র্ণা প্রতি কেজি ২৪ টাকা থেকে সপ্তাহের ব্যাবধানে বেড়ে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, আঠাশ প্রতি কেজি ৩২ টাকা থেকে সপ্তাহের ব্যাবধানে বেড়ে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিনিকেট প্রতি কেজি ৩৭ টাকা থেকে সপ্তাহের ব্যাবধানে বেড়ে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়, কাজল লতা প্রতি কেজি ৩৮ টাকা থেকে সপ্তাহের ব্যাবধানে বেড়ে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকায় বলে জানায় কুষ্টিয়া পৌর বাজারের খুচরা বিক্রেতারা।
পৌর বাজারের খুচরা চাল ব্যাবসায়ী নিশান আহমেদ জানায়, পাইকারী বাজারে মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে আমাদেরও বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষদের নাভিশ্বাস উঠেছে কনফেকশনারী ব্যাবসায়ী শামীম জানান, দিনে দিনে পরিবারে ব্যায় বৃদ্ধি হচ্ছে সেই সাথে হটাৎ করে চালের মূল্য বৃদ্ধিতে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে, তিনি জানান, চাহিদা অনুযায়ী আয় বৃদ্ধি হচ্ছে না।
একটি সুত্র জানায়, কুষ্টিয়ার খাজানগর দেশের মধ্যে বৃহত্তম চালের মোকাম। স্থানীয় প্রশাসনের দূর্বল বাজার মনিটারিং এবং ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনে কুষ্টিয়ায় দিনের পর দিন চালের দাম বেড়েই চলেছে। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারো খুচরা পর্যায়ে এই দাম বাড়ার কারনে সাধারন মানুষদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন