বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় ৪৬ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভাবনা

কুদরতে খোদা সবুজ : কুষ্টিয়ায় এ বছর ৪৬ হাজার মেট্রিক ৫০৮ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। তামাকের পরিবর্তে গম চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা গেছে, এ বছর জেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৩ হাজার ৫৪৮ হেক্টর। হেক্টর প্রতি ২.৮ মেট্রিক টন হিসেবে মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৭ হাজার ৯৩৪ মেট্রিক টন। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে জেলায় গম চাষ হয়েছে ১৬ হাজার ৬১০ হেক্টর। হেক্টর প্রতি সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এবছর ৪৬ হাজার ৫০৮ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বলছেন, এবছর বোরো ধান চাষ হ্রাস পাবার আশঙ্কা রয়েছে। ধানের মূল্য কম অপরদিকে গমের মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে বেশি হওয়ায় গম চাষে লাভের সম্ভাবনা নিয়ে কৃষক গম চাষ বাড়িয়ে দিয়েছে। জেলার কুমারখালি উপজেলার কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, গত দু’বছর ধরে ধান চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে। গত আমন মৌসুমেও প্রতিমণ ধানে লোকসান হয়েছে ১০০ টাকা। অপরদিকে ধানের তুলনায় গমের মূল্য বেশি। গত বছর মাত্র ২ বিঘা জমিতে গম চাষ করে তার লাভ হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার টাকা। এবছর ধান চাষ কমিয়ে গম চাষ বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ছেউড়িয়ার কৃষক মোকারম হোসেন জানান, প্রতিবছর ধান চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দু’এক বছরের মধ্যে ধান চাষ একেবারেই কমে যাবে। তিনি জানান, গত বছর তিনি মাত্র দেড় বিঘা জমিতে গম চাষ করেছিলেন। নিজের জমি কম তাই তিনি এবছর আরো দু’বিঘা জমি অল্প টাকায় লিজ নিয়ে গম চাষ করেছেন। কুমারখালি উপজেলার নন্দলালপুরের কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এবছর ধান চাষ গত বছরের তুলনায় বিঘা প্রতি প্রায় এক হাজার টাকা বেশি হবে। এরপর যদি ধানের দাম না পাওয়া যায় তাহলে লোকসানের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। এ আশঙ্কায় শুধু পরিবারের চাহিদা পূরনের জন্য এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। অপরদিকে গম চাষ করেছেন তিন বিঘা জমিতে। কেবল গম নয় ধান ব্যাতিত অন্যান্য সব ফসল চাষই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানের মূল্য উৎপাদন খরচের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে আগামীতে ধান চাষ আরো কমে যাবে। তখন হয়তো আমাদেরকে চাল রফতানির স্থলে পুরোটাই আমদানি করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন