শুক্রবার, অক্টোবর ১১, ২০১৩

দৌলতপুরে গৃহবধূ রুকসানারাকে ধর্ষণের পর ক্ষত-বিক্ষত করে নৃশংসভাবে হত্যা

দৌলতপুর প্রতিনিধি: জোরপূর্বক ধর্ষণের পর স্তন কেটে দিয়ে এবং যৌনাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে অমানবিক নির্যাতনের পর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গৃহবধূ রুকসানারা খাতুনকে (২২) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর আগে নিহত ওই গৃহবধূর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তার ওপর পাশবিক নির্যাতনের এসব ক্ষতচিহ্ন দেখে হত্যাকান্ড সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি কলেজপাড়া এলাকার রায়হান আলীর স্ত্রী গৃহবধূ রুকসানারা খাতুনকে মুখ বেধে জোরপূর্বক করে তার খালাতো ভাই শরিফুল আলম (২৪). পরে ওই পাষন্ড ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই স্তন কেটে দেয় এবং যৌনাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করে অমানবিক নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় সরেজমিনে গেলে এলাকার লোকজন নির্মম এ হত্যাকান্ডের লোহমর্ষক বর্ণনা দেন। এদিকে ঘাতক শরিফুল আলমের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে এলাকার কাজল মালিথা, ফজল হক, আমজাদ হোসেন ও লিয়াকত মেম্বারসহ এলাকার প্রভাবশালী মহল এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠে-পড়ে লেগেছেন বলে নিহতের স্বামী রায়হান আলী অভিযোগ করেন।প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলে তিনি জানান। থানা থেকে মামলা তুলে না নিলে তাকেও তার স্ত্রীর মতো পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেন প্রভাবশালীরা। এদিকে নিহতের দাফন সম্পন্ন করার আগেই প্রভাবশালীরা হুমকি দেয়ায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে রায়হান আলী জানিয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি এলাকার রায়হান আলীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী রুকসানারা খাতুন তার নানা সিরাজ সরদারের বাড়িতে অবস্থানকালে মঙ্গলবার গভীর রাতে তার খালাতো ভাই শরিফুল আলম তাকে মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গৃহবধূ রুকসানারাকে হত্যা করে শরিফুল আলম। হত্যাকান্ড ঘটানোর পর থেকে ঘাতক শরিফুল আলম আত্মগোপন করে রয়েছে। সে একই এলাকার আমিন সরদারের ছেলে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি (প্রশাসন) আব্দুল খালেক জানান, নিহতের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘাতক শরিফুলকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত গৃহবধূ রুকসানারা খাতুনের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লে¬খ্য, এ ঘটনার কয়েক বছর আগেও ঘাতক শরিফুল আলম তার আরেক বোনকে (ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী) একই কায়দায় হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুঁলিয়ে রেখে ওই হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন