শুক্রবার, অক্টোবর ১১, ২০১৩

কুষ্টিয়া পৌর সুইমিং ক্লাবের বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

হাওয়া ডেস্ক : বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেছেন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, পৌর সুইমিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে শিশু-কিশোরদের সাঁতার প্রশিক্ষণের যে ব্যবস্থা করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের পৌরসভার ইতিহাসে এটি একটি মডেল হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ঢাকাতে ১
৫দিনের একটি কোর্সে ফি ২২ হাজার টাকা। অথচ কুষ্টিয়া পৌর সুইমিং পুলে মাত্র মাসিক ১শত টাকার বিনিময়ে শিশু-কিশোররা সাঁতার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে, যা ভাবতে অবাক লাগে। আশারাখি আগামীতে এ সুযোগ সবাই কাজে লাগাবে আর কুষ্টিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে এ সুযোগ করে দেওয়ায় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের জানায় আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি বলেন, আজকের এই শিশু-কিশোরদের মাঝে সাঁতারের কলা-কৌশল দেখে আমি নিশ্চিত যে এরা যদি সাঁতার চর্চা অব্যাহত রাখে তাহলে একদিন জাতীয় এবং আন্তজার্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবে। আর আমি কুষ্টিয়ার মানুষ হিসেবে সেই দিনটির অপেক্ষায় থাকবো। গতকাল সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা পরিচালিত, কুষ্টিয়া পৌর সুইমিং ক্লাবের আয়োজনে, পৌর সুইমিং পুলে বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের সমাপানী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর সুইমিং ক্লাবের সভাপতি আনোয়ার আলী বলেন, সাঁতারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ২০০৭ সাল হতে পৌর সুইমিং ক্লাবের মাধ্যমে প্রতি বছর শিশু-কিশোরদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সাঁতারের প্রয়োজনীয়তা কারো অজানা নেই। তবুও লক্ষ্য করা যায় সুযোগ পেয়েও অনেকেই সাঁতার শিখতে অনিহা প্রকাশ করে। বিশেষ করে অনেক মা-বাবা আছেন যারা মনে করেন তাদের সন্তানেরা সাঁতার শিখতে পানিতে নামলে অসুস্থ হয়ে পরবে। তাদের এই ধারণা ভুল। সাঁতার শিখতে কোন শিশু অসুস্থ হয় না বরং সুস্থ থাকে। তাই যে শিশু-কিশোর এখনো সাঁতার শেখেনি তাদেরকে সাঁতার শিখার আহবান জানান তিনি। পৌর সুইমিং ক্লাবের মাধ্যমে আগামীতেও সাঁতার প্রশিক্ষণ অব্যহত থাকবে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন মেয়র আনোয়ার আলী।  পৌর সইমিং পুলের তত্বাবধায়ক মোঃ রাশিদুজ্জামান খান টুটুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু ও প্রাত্তন কৃতি সাঁতারু কানাই লাল শর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আ.ফ.ম নুরুল কাদের ও জিনাত আরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর নাইমুল ইসলাম, সাইফ-উল-হক মুরাদ ও সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান। আলোচনা শেষে প্রশিক্ষণ গ্রহণকরী ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সদনপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। এবছর মে মাস হতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ১৫০জন শিশু-কিশোরকে এবছর সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন মর্জিনা খাতুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন