বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০১৪

দৌলতপুরে অর্ধ কোটি টাকার হাট ভাগ করে নিল এমপি‘র ভাই ও ভাতিজা!


দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা :কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অর্ধকোটি টাকা মুল্যের আল্লারদর্গা পশু হাট ও তহহাট ভাগ করে নিয়েছে দৌলতপুরের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই ও ভাতিজা। এর আগে অন্যান্য আগ্রহী ব্যবসায়ীদের হাটের দরপত্র ক্রয় করতে বাঁধা দেয় এমপি‘র ক্যাডাররা। উপজেলা পরিষদ সুত্র সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানায়, ১৪২১ সালের জন্য হাট বাজার ইজারার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে ২৮ টি হাট বাজার ইজারার বিজ্ঞপ্তি দিলে প্রথম পর্যায়ে ২৪ ফেব্র“য়ারী সিডিউল বিক্রয়ের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দৌলতপুর আসনের সতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীরর ছোট ভাই টোকন ও তার ক্যাডার বাহিনী সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হাটবাজার ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে স্থানীয় হাট ব্যবসায়ীদের সিডিউল ক্রয়ে বাধা দিলে কোন হাট ব্যবসায়ী দরপত্র কিনতে পারেনি। ফলে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ থেকে কোন হাট ব্যবসায়ী সিডিউল কিতে পারেনি। কিন্তু এমপি‘র ভাই রবিউল হক চৌধুরী তার ছেলে জাফর হায়দার চৌধুরী এবং রবিউল হক চৌধুরীর জামাতা তারিকুজ্জামান ও কামাল হোসেনের নামে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আল্লারদর্গা পশু হাটের বিরীতে ৩ টি এবং হলুদবাড়িয়া তহহাটের বিপরীতে ৩ করে দরপত্র জমা করে। এমপি‘র ভাই রবিউল হক চৌধুরী ৫৪ লক্ষ ৫৫০০ টাকায় আল্লারদর্গা পশুহাট ও তার ছেলে জাফর হায়দার চৌধুরীর নামে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা দরে দরপত্র দাখিল করে। দুটি হাটেরই অন্য দুজন দরদাতা এমপি‘র ভাইয়ের জামাতা নিকট আত্মীয়। এলাকাবাসী জানায়, রেজাউল হক চৌধুরীর এমপি নির্বাচি হবার একমাস না যেতেই তার ভাই ভাতিজা ও ক্যাডার বাহিনী হাট ঘাট দখলে বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ১৯ জানুয়ারী তারা জোনাকী মৎসজীবী সমবায় সমিতির লিজ নেয়া হিসনা নদী জোর করে দখল করে নেয়। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোকতার হোসেন জানান, ২৮ টি হাটের মধ্যে মাত্র দুটি হাটের বিপরীতে ৩ করে সিডিউল জমা পড়েছে। এছাড়া আরো ১৫ টি হাটে ২/১ টি করে সিডিউল জমা পড়ায় পরবর্তী সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন