বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৭, ২০১৪

ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় পাদুকা তৈরী কারিগরদের ঘুম নেই ॥ ব্যাস্ততা বেড়েছে কারখানা গুলোতে

আব্দুম মুনিব : ঈদের আনন্দের নতুন পোশাকের সাথে বাড়তি মাত্রা যোগ করে নতুন পাদুকা। সমাজের উচ্চবিত্ত, উচ্চ-মাধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা নতুন পোশাকের সাথে তাল মিলিয়ে ঈদ মার্কেটের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটায় পাদুকার দোকানে। শিশু থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতি, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সব বয়সের পাদুকা হয়ে উঠে ঈদ মার্কেটের বিশেষ একটি আইটেম। এদিকে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে দেশের নামি-দামি পাদুকা কোম্পানীর সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কুষ্টিয়ার পাদুকা কারখানার কারিগড়রা। কুষ্টিয়া শহরে প্রায় ডজন খানেক পাদুকা কারখানা গড়ে উঠেছে। আর এর প্রায় সব গুলোই শহরের শাহ আজিজুর রহমান সড়ক ও কোর্ট স্টেশনের আশে পাশে। এ জেলার ছোট-বড় পাদুকা কারখানা গুলোর তৈরিকৃত পাদুকা পাশ্ববর্তী, রাজবাড়ি, পাংশা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদা জেলা এবং কুমারখালী, খোকসা, দৌলতপুর, মিরপুর, ভেড়ামারাসহ বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। যার ফলে ঈদকে সামনে রেখে ওই কারাখানা গুলোতে এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে কারিগড়রা। কুষ্টিয়া কারখানা গুলোর মধ্যে রয়েছে আপন সু ষ্টোর, সুসান্ত সু ষ্টোর, চটি হাউস, আলম সু ষ্টোর, চটি বাজারসহ সহ বিভিন্ন পাদুকা কারখানায় ঘুড়ে দেখা যায় কারিগড়দের ব্যস্ততা। কেউ
ডিজাইন কাটছে, কেউ মেশিনে সেলাই করছে, কেউ আঠা লাগাচ্ছে, কেউ সোল লাগাচ্ছে, কেউ ফিটিং করছে আবার কেউ বা রং করছে। আপন সু ফ্যাক্টরীর কারিগর নিরঞ্জন জানান, ঈদ উপলখ্যে গত কয়েকদিন চরম ব্যাস্ততা বেড়েছে। বিভিন্ন মূল্যর পাদুকা কুষ্টিয়াতে তৈরি হয় বলে তিনি জানালেন। প্রতি কারখানায় ৫-৮ জন কারিগড় রয়েছে এককটি প্রতিদিন গড়ে ১শ ১৫০ জোড়া পাদুকা তৈরি হয়। আর ঈদ আসলেই এসব কাড়িগর ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ঈদের ২/১ দিন পূর্ব পর্যন্ত এ ব্যস্ততা চলবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন