মঙ্গলবার, জুলাই ২২, ২০১৪

গাংনীর আলোচিত মিনি ক্লিনিকে গর্ভপাত নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর পাল্টা পাল্টি মামলা

মেহেরপুর প্রতিনিধি : আবারো আলোচনায় এসেছে গাংনীর স্বঘোষিত মিনি ডাক্তারের বহুল আলোচিত মিনি ক্লিনিক। গৃহবধূ ও যুবতীদের অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর নিরাপদ ও বিশ্বস্ত স্থান হিসেবে পরিচিত এ ক্লিনিকটি দির্ঘদিন যাবত মেয়েদের গর্ভপাত ঘটিয়ে আলোচনায় উঠে আসে। এবার জোর পূর্বক গর্ভপাত ঘটানো নিয়ে একটি মামলা করেছেন গাংনীর হিজলবাড়িয়া গ্রামের গৃহবধূ রুমা ও অপর মামলাটি করেছেন রুমার শশুর মাহাতাব উদ্দিন। শশুর ও বউমা একে অপরের নামে মামলা ঠুঁকে দেয়ায় এ ক্লিনিকটি আবারো আলোচনায় এসেছে। আদালতের আদেশে বিষয়টি তদন্ত নেমেছেন মেহেরপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী। রোববার সকালে তিনি প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেন। সুত্র জানায়, গাংনীর হিজল বাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রুমার সাথে একই গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে মামুন রেজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছিল। কিছু দিন আগে রুমা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। সম্প্রতি মামুন রেজা রুমাকে গাংনীর আলোচিত মিনি ক্লিনিকে এনে জোর পূর্বক গর্ভপাত ঘটান। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে। এ ঘটনায় রুমা বাদি হয়ে মামুন রেজা ও তার পরিবারের নামে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে রুমাকে তার পিতা মাতা কৌশলে গাংনীর মিনি ক্লিনিকে এনে গর্ভপাত ঘটিয়েছে মর্মে আদালতে অপর একটি মামলা ঠুঁকে দেন রুমার শশুর মাহাতাব উদ্দিন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রুমার পিতামাতা তার মেয়েকে শশুরবাড়ি না পাঠানোর জন্য কৌশলে গর্ভপাত ঘটায়। মামুন রেজার পিতা ও স্ত্রীর পাল্টা পাল্টি মামলা দু’টি আদালত আমলে নিয়ে মেহেরপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলীকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী জানান, মামলা দু’টি আদালতের নির্দেশে তদন্ত করা হচ্ছে।
মামলায় যেহেতু মিনি ক্লিনিকের কথাটি এসেছে তাই সেখানে তদন্তের জন্য যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে অধিকতর তদন্ত করা হবে। এদিকে মিনি ক্লিনিক নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, বিগত ১৫/২০ বছর যাবত মিনি হাসপাতালের পেছনে একটি বাসায় দেদারছেঅবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে আসছে। হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ এ কাজে জড়িত। প্রতিদিন কয়েকজন নারী খরিদ্দারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে। প্রতিজন কাস্টমারের জন্য তাদেরকে একশ’ টাকা থেকে দেড়শ টাকা দেয়া হয়। এখানে মাস হিসেবে গর্ভবতীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। প্রতি মাসের জন্য ২০০ টাকা। আর ৫ মাসের বেশী হলে ২ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। স্বঘোষিত এইমিনি ক্লিনিকের মিনি খাতুনের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান সচেতন মহল। গাংনী উপজেলা নির্বাহি অফিসার আবুল আমিন জানান, মিনি ক্লিনিকের অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন