শুক্রবার, নভেম্বর ২৮, ২০১৪

দৌলতপুর ভাগজোতের নদী পাড় থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন হচ্ছে প্রতিনিয়ত

স্টাফ রিপোর্টর : কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার ৫ নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোতমোড়ের নিচে নদীর পাড় হইতে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ।কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না ভাগজোত নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ জমির উৎপাদন। কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুর। নদীটির দুই তীরে রয়েছে শত শত হেক্টর আবাদী জমি।এই নদী থেকে সেচের মাধ্যমে পানি উঠিয়ে স্থানীয় কৃষকরা ইরি-বোরো ও বাদাম আবাদ করে থাকে। কিন্তু গত প্রায় ২বছর ধরে ভাগজোত গ্রামের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রভাবে অবৈধভাবে প্রতিদিন শতশত ট্রাক ও ট্রলি দিয়ে বালু তোলে বিক্রি করছে।প্রায় ৬ মাস যাবত চলছে বালু তোলার মহোৎসব। সেলু মেশিন দিয়ে বালু তোলার কারণে বালুর সাথে উঠে যাচ্ছে নদীর পানি।ফলে শুকনা মৌসুমেতো বটেই, বর্ষা মৌসুমেও নদীটি থাকছে পানি শূন্য।এতে শুধু যে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে তা কিন্তু নয়।মৎস্য সম্পদ ধ্বংস এমনকি প্রাকৃতিক পরিবেশের ও মারাতœক বিপর্যয় ঘটছে।নদী
থেকে তোলা বালু পরিবহনের জন্য প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বড় বড় ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করছে। এসব ট্রাক ট্রলির যাতায়াতের কারণে রা¯তার বেহাল অবস্থা যা চোখে না দেখলে বিশ্বান করা দায়।এছাড়া নদী থেকে অতিরিক্ত বালু তোলার কারণে মুন্সিগঞ্জ এলাকার ব?ক হুমকির মুখে। তবে অসহায় এলাকা বাসীর দাবি এরকম অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে নদীটি মরুভুমিতে পরিণত হবে। যার পরিনামে করুণ ভোগাšিত দূর্গতি ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না। এ ব্যাপারে পূর্বে পত্রিকায় ও মাই টিভিতে সংবাদ প্রকাশিত হয় কিন্তু এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানা থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই। তাই এ ব্যাপারে উচ্চ সরকারী-প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান সকল জন সাধারণেরতৃ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন