রবিবার, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪

গাংনীর চিৎলা ভিত্তি বীজ খামারের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর মিয়ার দূর্ণীতি চিত্র-৪

কীটনাশক গবরের সার, জৈব সার ও খৈল কেনার ভূয়া ঠিকাদারী 
প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে নিজেই বীল ভাউচার করে তুলে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা

আক্তারুজ্জামান,মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনী চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারে যুগ্ম পরিচালক আলমগীর মিয়া যোগদানের পর থেকে সরকারী কোন কর্মসূচি পালন করা হয়নি। সরকার ঘোষিত কর্মসূচি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী,বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস সহ সরকারী কোন দিবস পালনের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিলেও কর্মসূচি পালন না করে সে সব অর্থ পকেটেস্থ করেন যুগ্ম পরিচালক আলমগীর মিয়া। এসব দিনগুলোতে সরকারী পতাকা পর্যন্ত উত্তোলন করেন না খামারের মধ্যে। জানা গেছে, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্মিত আবাসন কোয়ার্টার গুলো দীর্ঘদিন যাবৎ রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় ধক্ষংশের দিকে যাচ্ছে। অথচ এগুলো রক্ষণা-বেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয় বিএডিসি কর্তৃপক্ষ।একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১১-২০১২, ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ ইং অর্থ বছরে সরকরী কোয়ার্টার সংস্কারের জন্য প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব অর্থ বছরে কোয়ার্টারগুলোতে কোন ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়নি। সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র। জানা গেছে, আলমগীর মিয়া যোগদান করার পর থেকেই ধান, গম, আলু, আমবাগানসহ বিভিন্ন ফসল গোপনে টেন্ডার করে নি¤œ দরদাতার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে পাইয়ে দিয়ে থাকে। জমি চাষের জন্য বিএডিসি’র বরাদ্দকৃত জালানি তেল প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। জালানি তেলের ভূঁয়া বীল ভাউচার করে তেলের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।  একটি বিশ্বস্ত্র সূত্র জানিয়েছে, আলমগীর মিয়া চিৎলা ভিত্তিপাট বীজ খামারে যোগদানের পর ঘুঁষের টাকা নিয়ে ঢাকার মিরপুরে প্রায়
কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাস বহল বাড়ি কিনেছেন।  জানা গেছে, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৭ শ গম ও ৪ শ মন অ-বীজ ধান গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় চিৎলা গ্রামের ভূষিমাল ব্যবসায়ী ফজলুর রহমানকে পাইয়ে দিয়ে ৪৭ হাজার টাকা উৎকোচ নেন জেডি আলমগীর মিয়া। ঘুঁষ নেওয়ার অভিযোগে জেডি আলমগীর মিয়ার বিরুদ্ধে বিএডিসি’র সদর দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানান, কীটনাশক সার, গবরের সার, জৈব সার ও খৈল কেনার ভূয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে নিজেই বীল ভাউচার করে তুলে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধ মকবুল হোসেন জানান, জেডি আলমগীর মিয়ার বিরুদ্ধে দূর্ণীতির বিভিন্ন অভিযোগ শুনেছি। তার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন